পিলিনে ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যশস্য, ত্রাণ পৌছতে বিলম্ব ওড়িশায়
গঞ্জম (ওড়িশা), অক্টোবর ১৫ : ঘূর্ণিঝড় পিলিন-এর ফলে বাস্তুচ্যুত গ্রামবাসীদের ত্রাণ পৌছতে দেরি হচ্ছে। এমনকী গত দুদিন ধরে খাবার পাননি শিশু ও বয়স্করাও। সোমবার এমন অভিযোগ জানিয়েছেন গোপালপুরে বন্যার জলে আটকে থাকা গ্রামবাসীরা।
এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে খবর এসেছে ওড়িশায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই)ও কেন্দ্রীয় গুদাম (সিডব্লুসি)-এ মজুত রাখা খাদ্যশস্যের কিছুটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পর্যবেক্ষণ করতে মঙ্গলবার এফসিআই ও সিডব্লুসি-র দুটি দল ওড়িশায় পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক সচিব সুধীর কুমার মজুত খাদ্যশস্য়ের পরিমাণ খতিয়ে দেখেন। ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের যত শীঘ্র সম্ভব ওড়িশায় পৌছে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এইমুহূর্তের খাদ্যশস্যের চাহিদা জানার নির্দেশ দেন তিনি।
এফসিআইকে ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যশস্যের গুনগতমান বিচার করে একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এর পর রাজ্য সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে অন্য গুদাম থেকে খাদ্যশস্য আনার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন খাদ্যসচিব। একইসঙ্গে এফসিআই, সিডব্লুসি-র পাশাপাশি আপদকালীন তৎপরতায় গুদামগুলির মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ও রাজ্য গুদাম কর্পোরেশন (এসডব্লুসি)-কে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পিলিন-এর কারণে জগন্নাথপুরে এফসিআই-এর গুদামে মজুত ১৩৮৮৮ মেট্রিকটন খাদ্যশস্যের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুদামের ছাদ ও দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জল পড়ে খাদ্যশস্য ভিজে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বেহরামপুরে কেন্দ্রীয় গুদামেরও তিনটি দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।