করোনা ঠেকাতে নয়া উদ্যোগ, 'কোভিড-মুক্ত গ্রাম' প্রতিযোগিতার আয়োজন পুনেতে
কোভিড-মুক্ত গ্রাম প্রতিযোগিতা
গোটা দেশ তথা দুনিয়ায় আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। দিন দিন হু হু করে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যমণি হল করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। আর এই ওমিক্রনের দাপটে সর্ষেফুল দেখছেন বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রন তথা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ জুড়ে জারি করা হয়েছ কড়া বিধিনিষেধ। আর দেশে করোনায় সন্থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মহারাষ্ট্রের। গোটা ভারতে করোনা সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে আছে এই রাজ্য। মারণ ভাইরাসের থাবা থেকে মুক্তি পেতে এবার নয়া পন্থা অবলম্বন করা হল প্রশাসনের তরফ থেকে।
করোনা ঠেকাতে প্রতিযোগিতা
সারা দেশে ফের যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা সংক্রমণ তাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সব মহলেই। আর এক্ষেত্রে যেহেতু সবথেকে খতিগ্রস্থ রাজ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, তাই এই রাজ্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ জেলা পুনে এবাত করোনা ঠেকাতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করল। ওমিক্রনের বিস্তার রোধ করতে "কোভিড-মুক্ত গ্রাম" প্রতিযোগিতা চালু করেছে এই জেলা। এই প্রতিযোগিতাটি পুনেতে ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হয়েছে। এবং যা চলবে আগামী ১৫ই মার্চ ২০২২ পর্যন্ত।
বিজয়ীদের পুরস্কার
পুনেতে অনুষ্ঠিত "কোভিড-মুক্ত গ্রাম" প্রতিযোগিতায় সব বিভাগ থেকে বিচার করে সেরা তিনটি পারফর্মিং গ্রামগুলিকে রাজ্য সরকার উন্নয়ন তহবিলের তরফ থেকে নগদ পুরস্কার প্রদান করা হবে। এই নগদ টাকা সেই সেই গ্রাম বা অঞ্চল গুলিতে রাস্তাঘাট, সৌন্দর্যায়ন, সার্বিক বিকাশ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য ব্যভার হবে। এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে অবগত করতে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করেছে
জেলা প্রশাসন। নির্দেশিকা অনুসারে, প্রতিযোগিতার শেষে, তিনটি সেরা গ্রাম নির্বাচন করা হবে এবং ২২টি প্যারামিটারের ভিত্তিতে করোনা নিরাপত্তায় তাদের সক্রিয় ভূমিকা বিচার করা হবে। সেরা তালিকায় প্রথম স্থানের জন্য ৫০ লাখ, দ্বিতীয় স্থানটির জন্য ২৫ লাখ এবং তৃতীয় স্থানে থাকা গ্রামের জন্য ১৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
জেলা পরিষদ প্রধানের বক্তব্য
পুনে জেলা পরিষদের প্রধান কর্মকর্তা আয়ুষ প্রসাদ জানিয়েছে, পুনে জেলার গ্রামীণ এলাকা কোভিড মুক্ত রাখার জন্য, পুনে জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে এই জেলার গ্রামীণ এলাকায় আরও ভালো ভাবে করোনা প্রতিরোধ বলয় গড়ে তোলা যায়। এই কর্মসূচি মূলত গ্রামে করোনার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের জন্য সর্বোত্তম পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার বিজয়ীকে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নের জন্য অর্থ দেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে মূলত সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতকে সঠিক কোভিড ব্যবস্থাপনা এবং সচেতনতা তৈরি করার জন্য উৎসাহিত করাই মূল লক্ষ।