মুম্বইয়ে শুরু তৃতীয় ঢেউ! কোভিড টাস্ক ফোর্স সদস্যর বিবৃতিতে 'মহা-আতঙ্ক' মহারাষ্ট্রে
নতুন বছরে নতুন করে সবকিছু শুরু করার আশায় বুক বাঁধছিল গোটা দেশ। কিন্তু সেখানেই 'বিধি বাম' করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। দেশজুড়ে লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। আর সৌজন্যে এই নয়া প্রজাতির করোনা। তবে পাশাপাশি বড়দিনের বড় সেলিব্রেশনকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বার বার সতর্ক করার পরেও যেভাবে জনসমুদ্রে গা ভাসিয়েছে আসমুদ্রহিমচল, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছিলেন চিকিৎসকরা। আর সেই কথা সত্যি করেই মাত্র ৭ দিনের মধ্যে প্রায় দ্বিগুন দেশের করোনা সংক্রমণের হার। মুম্বইতে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৫০০ নতুন করোনা আক্রান্তের খবর সামনে এসেছে, যা ঘুম কেড়েছে মহা-সরকারের।

মুম্বইতে শুরু তৃতীয় ঢেউ?
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহারাষ্ট্র কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডঃ শশাঙ্ক জোশী বলেছেন, "মুম্বইতে শুরু হয়েছে তৃতীয় ঢেউ। এটি যথেষ্ট উদ্বেগজনক ঘটনা। সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সবক্ষেত্রে।" তবে তিনি এও বলেন যে, এতে খুব একটা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। কারণ সংক্রমণ মাত্র কয়েকদিনে দ্বিগুন হয়েছে মানেই এই নয় যে তা সবাইকে জীবন-মরণ সমস্যার দিকে ঠেলে দেবে। তিনি জানিয়েছেন, " আমরা আশা করি ডেল্টা সম্পূর্ণরূপে ওমিক্রন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে যা মৃদু রোগ সৃষ্টি করে।" ডঃ জোশী জানিয়েছেন, জিনোম সিকোয়েন্সিং ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ওমিক্রন চিহ্নিত করে। তাই যারা সংক্রামিত হয়েছেন তাঁরা যে ডেল্টায় আক্রান্ত নয় তা এক প্রকার নিশ্চিত।

পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক?
ব্রীচ ক্যান্ডি, জাসলোক, ভাটিয়া এবং রিলায়েন্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ. হেমন্ত থ্যাকারও ওই সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা ঠিক যে রোগ এবং সংক্রমণ আছে, কিন্তু গুরুতর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। এই রোগের বিস্তার যেমন দ্রুত হচ্ছে তেমন এর প্রকৃতি সাধারণ সর্দি বা ফ্লুর মতো। ওমিক্রন ডেল্টাকে প্রতিস্থাপন করবে এবং জনসংখ্যার মধ্য দিয়ে একটি সুইপিং ওয়েভের মতো চলবে বলে মত তাঁর। পাশাপাশি তিনি আশার আলো দেখিয়ে জানিয়েছে, "ভারত আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রনের পতন দেখতে পারে। তাই ঘাবড়াবেন না। সবাই চিকিৎসকদের কথা মত কোভিড-আচরণ মেনে চলুন।"

ওমিক্রনের উপসর্গ প্রসঙ্গে
ইন্টারনাল মেডিসিন, ম্যাক্স হেলথকেয়ারের ডিরেক্টর, ডাঃ. রোমেল টিকু জানিয়েছেন, "দিল্লিতে করোনার কেস বাড়ছে। কিন্তু তা হাল্কা উপসর্গ বিশিষ্ট। এই উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, গলা খসখসে, সর্দি, ক্লান্তি, পিঠে ব্যথা এবং মাথাব্যথা। স্বাদ এবং গন্ধ বন্ধ অনেক ক্ষেত্রেই হয় না।" তবে কোভিড বিধি ঠিকমত না মানলে তা সংক্রমণ দেশজুড়ে বিশাল ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলেই মত তাঁর।