ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিক্ষোভ আটকের পর আজ কংগ্রেস সাংসদের বৈঠক
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিক্ষোভ আটকের পর আজ কংগ্রেস সাংসদের বৈঠক
ন্যাশলান হেরাল্ড মামলার তদন্ত রাহুল গান্ধী সহ একাধিক কংগ্রেস শীর্ষ নেতাকে তলব করেছে ইডি৷ এরপরই এ নিয়ে দিল্লির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক ও হন অনেকে৷ এসবের পর বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন কংগ্রেস সাংসদরা৷
কী নিয়ে বিতর্ক?
দিল্লির রাস্তায় তিন দিনের বিক্ষোভ, আটক এবং বিশাল রাজনৈতিক নাটকের পর এবার কংগ্রেস সাংসদরা বৃহস্পতিবার সংসদীয় পার্টি অফিসে একটি বৈঠক করতে চলেছেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় রাহুল গান্ধীকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদ এবং এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় দিল্লি পুলিশ কর্তৃক দলীয় সাংসদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের মতো বিষয় রয়েছে৷ এর আগে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গেও দেখা করে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন৷
কী অভিযোগ করছে কংগ্রেস?
সোমবার ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্তে গান্ধীদের তলব করেছিল ইডি। এর বিরুদ্ধে 'সত্যগ্রহ' বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরে 'গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি'র অনেক সাংসদ-কে আটক করা হয়েছে। আকবর রোডে কংগ্রেসের দলীয় সদর দফতরের কাছে ব্যারিকেড, বিশাল পুলিশি নিরাপত্তা, ধর্না ও স্লোগান দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের তৃতীয় দিনে, কংগ্রেস মহিলা কর্মীদের জোরপূর্বক রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় টায়ারও জ্বালিয়েছিল বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
পুলিশি হেনস্থা নিয়ে অজয় মাকেনের টুইট
কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন৷ যেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন যে দিল্লি পুলিশ জোর করে কংগ্রেস পার্টি অফিসে ঢুকেছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম সহ কংগ্রেসের একাধিক নেতাও এই ঘটনাটি নিয়ে টুইট করেছেন। মাকেন লিখেছেন, 'আজ সকালে এআইসিসি অফিসে পুলিশ যা করেছে তা সরাসরি স্বাধীনতা লঙ্ঘন। পুলিশের কাছে কোনও অনুসন্ধান পরোয়ানা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না, তবুও তারা অফিসে প্রবেশ করে, সাংসদ সহ কংগ্রেস নেতা ও সদস্যদের টেনে রাস্তায় বের করে দেয়!'
একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবি! কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন ১০ তৃণমূল সাংসদ