বাজেয়াপ্ত ছোটা রাজনের ল্যাপটপ, মোবাইল, মিলতে পারে দাউদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
বালি (ইন্দোনেশিয়া), ২ নভেম্বর : আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজন শেষপর্যন্ত ধরা পড়েছে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। আর তার ফলে ফের একবার সামনে চলে এসেছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীদের তালিকায় পয়লা নম্বরে থাকা দাউদ ইব্রাহিমকে ধরার প্রসঙ্গ। [ছোটা রাজনকে ভারতে ফেরাতে সিবিআই ও মুম্বই পুলিশ চলল ইন্দোনেশিয়া]
দাউদ ও ছোটা রাজন একে অপরের বিরোধী গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত। ছোটা রাজনকে হত্যা করার ছক বেশ কয়েকবার বানচাল হয়েছে ডি কোম্পানির। এহেন ছোটা রাজন বিরোধী দাউদ ও ছোটা শাকিল গোষ্ঠীর খোঁজ রাখবেন না তা সম্ভব নয়। এমনটাই মত পুলিশের। [সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক করা থেকে অপরাধ জগতের বেতাজ বাদশা ছোটা রাজনের কাহিনি]
ফলে গ্রেফতার হওয়ার রাজনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে দাউদ ইব্রাহিম পর্যন্ত পৌঁছনো যায় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। [পাকিস্তানের করাচিতেই বহাল তবিয়তে দাউদ, জেনে নিন ঠিকানাও]
আপাতত ছোটা রাজনকে ভারতে ফিরিয়ে আনাই প্রাথমিক লক্ষ্য সিবিআইয়ের। কারণ ইন্দোনেশিয়ায় ধৃত রাজনের পাসপোর্ট অনুযায়ী নাম মোহন কুমার। তিনিই যে রাজেন্দ্র সদাশিব নিকলজে তা এখনও প্রমাণিত নয়। এই দুজন যে একই ব্যক্তি তা প্রমাণ করলে তবেই রাজনকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব। [উচ্চ শিক্ষিত ইয়াকুব মেমনের অপরাধী হয়ে ওঠার কাহিনি]
তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ ভারতের সঙ্গে কোনওরকম অসহযোগিতা করেনি। তারা রাজনকে ভারতের হাতেই তুলে দিতে চাইছে।