নোটবন্দির ৫ বছর অতিক্রান্ত, জনসাধারণের হাতে নগদ বৃদ্ধি ফের সর্বোচ্চ সীমায়
নোটবন্দির ৫ বছর অতিক্রান্ত, জনসাধারণের হাতে নগদ বৃদ্ধি ফের সর্বোচ্চ সীমায়
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। তারপর পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তবু জনসাধারণের কাছে মুদ্রা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নগদ অর্থ প্রদানের মাত্রাই বেশি। ২০২১-এর ৮ অক্টোবর শেষ হওয়া পাক্ষিকের জন্য জনসাধারণের কাছে মুদ্রা ছিল ২৮.৩০ লক্ষ কোটি টাকার, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ।
নোটবন্দির পাঁচ বছরে ৫৭.৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে মুদ্রা। ২০১৬-র নভেম্বর মাসে জনসাধারণের কাছে ১৭.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। এখন তা ১০.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে আরও। নগদ টাকা ৯.১১ লক্ষ কোটি থেকে ২১১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-র ২৫ নভেম্বর রেকর্ড করা হয়েছিল নগদ ৯.১১ লক্ষ কোটি টাকার পরিমাণ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, ২০২০-র ২৩ অক্টোবর শেষ হওয়া পাক্ষিকে দিওয়ালি উৎসবের আগে জনসাধারণের কাছে মুদ্রা ১৫ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা বেড়েছে। এটি বছরে ৮.৫ শতাংশ বা ২.২১ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার পরে জনসাধারণের কাছে মুদ্রাছিল ১৭.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৭-র জানুয়ারিতে চা কমে ৭.৮ লক্ষ কোটি টাকা হয়।
সরকার এবং আরবিআই ক্যাশলেস সোসাইটি গড়তে জোর দিয়েছিল। তাই পেমেন্টের ডিজিটাইজেশন এবং বিভিন্ন লেনদেনে নগদ ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও লেনদেনের সিস্টেমে নগদ ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। ২০২০ সালে সরকার কোভিড মহামারীর বিস্তারকে মোকাবিলা করার জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছিল।
যেহেতু বিশ্বজুড়ে দেশগুলি ফেব্রুয়ারিতে লকডাউন ঘোষণা করেছিল এবং ভারত সরকারও লকডাউন ঘোষণা করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। জনসাধারণ তাঁদের মুদি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে নগদ জমা করতে শুরু করেছিল, যা মূলত আশেপাশের মুদি দোকানগুলি দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছিল।
২০১৬ সালের নভেম্বরে হঠাৎ করে নোট বাতিলের ফলে অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসে। চাহিদা কমে যাওয়া, ব্যবসাগুলি সংকটের সম্মুখীন হওয়া এবং মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি বৃদ্ধি প্রায় ১.৫ শতাংশ হ্রাস পায়। নোট বাতিলের পরে অনেক ছোট ইউনিট প্রচণ্ড ধাক্কা খায় এবং বন্ধ করে দেয় তাদের ইউনিট। এতে অর্থনৈতিক ঘাটতিও তৈরি হয় দেশে। পাঁচ বছর পরও সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং লেনেদেনে নগদ প্রদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।