পালিয়ে বেঁচেছেন , ফিরে এসে বললেন গায়েব হয়ে যাওয়া সেনা বিধায়ক নিতিন দেশমুখ
Array
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঝড় চলছে। এসবের মাঝেই আবারও একটি চাঞ্চল্যকর মোড় দেখা দিল। শিবসেনা বিধায়ক নিতিন দেশমুখ, যিনি আগে বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়েছিল, তাঁকে এবার খুঁজে পাওয়া গেল এবং তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের প্রতি তার সমর্থনের কথা বললেন।
নিতিন দেশমুখ দাবি করেছিলেন যে তাকে "অপহরণ" করা হয়েছিল এবং গুজরাটের সুরাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখান থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, "আমি পালিয়ে এসেছ সুরাত থেকে এবং আমি রাত তিনটে থেকে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ছিলাম। কোনও একটা গাড়ি ধরে ফেরার ধরার চেষ্টা করছিলাম। তখনই শতাধিক পুলিশ এসে আমাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা আমার আমার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এমন কিছু সাজানোর চেষ্টা করে অথচ আমার শরীরে এসব কিছু হয়েইনি"।
ঘটনা হল এই দেশমুখের স্ত্রী'ই গতকাল স্থানীয় থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি বলেছলেন তাঁর স্বামী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। আজ তিনি ফিরে এসেছেন। বিধায়ক নিতিন দেশমুখ মহারাষ্ট্রের বালাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দেশমুখের স্ত্রী প্রাঞ্জলি, আকোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন যে তিনি তার স্বামীর সাথে শেষ ২০ জুন সন্ধ্যা ৭ টায় ফোনে কথা বলেছিলেন এবং এরপরে তাঁর ফোনটি সুইচ হয়ে যায়। তারপর থেকে তিনি আর যোগাযোগ করতে পারেননি। তিনি বলেছিলেন দেশমুখের জীবন সংশয়ের মধ্যে রয়েছে। এসব নাটকের মাঝে আজ ফিরে এলেন তিনি।
প্রসঙ্গত ,সোমবার বিধান পরিষদের নির্বাচনের পরেই শিবসেনার একদল বিধায়কের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বোঝা যাচ্ছিল না তাঁরা কোথায় রয়েছেন। পরে জানা যায় গুজরাটের সুরাতে একটা পাঁচতারা হোটেলে রয়েছেন। তাঁরা দল পরিবর্তন করতে পারেন বলে একটা আশঙ্কা দেখা দেয়। এরপরেই মহারাষ্ট্র জুড়ে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। তারমধ্যেই নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন শিবসেনা বিধায়ক নিতিন দেশমুখের স্ত্রী।
শিবসেনা বিধায়কের স্ত্রী প্রাঞ্জলী দেশমুখ মঙ্গলবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার রাত থেকে নীতিন দেশমুখের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর মোবাইল সুইচড অফ বলছে। বিধানসভা পরিষদ নির্বাচনে হারের পরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠকের ডাক দেন। এরমধ্যে সোমবার রাত থেকেই শিবসেনার একাধিক বিধায়ক গায়েব হয়ে যান। তাঁদের ফোনেও পাওয়া যায়নি।