আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ হোক, প্রশান্ত ভূষণ কাণ্ডে সুপ্রিমকোর্টকে চিঠি ১৫০০ আইনজীবীর!
আদালত অবমাননার দায়ে প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে দোষীসাব্যস্ত করে সুপ্রিমকোর্ট। এবার সুপ্রিমকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধেই সরব দেশের অন্তত ১৫০০ আইনজীবী। প্রশান্তের বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছেন সুপ্রিমকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রবীণ সদস্যরাও। এই বিষয়ে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, যদি বার অ্যাসোসিয়েশন ভয়ে চুপ করে থাকে তাহলে স্বাধীন ভাবে মতামত প্রকাশ করা যাবে না কোনও দিনও। এতে ব্যহত হবে দেশের স্বাধীনতাই।
সুপ্রিমকোর্টের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের বক্তব্য
আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, 'এই রায় সুপ্রিমকোর্টের ক্ষমতা বোঝাচ্ছে না। এই রায় যেটা করবে, তা হল আইনজীবীদের নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে বাধা সৃষ্টি করবে। বিচার ব্যবস্থার জন্যে প্রথম দিন থেকে আইনজীবীরাই সরব হয়েছেন। বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার জন্যে বারবার আওয়াজ তুলেছেন আইনজীবীরা। কিন্তু এখন যদি বারকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয় তা হলে এই বিচারব্যবস্থা এবং আদালত আর শক্তিশালী থাকবে না।'
এস এ বোবদেকে নিয়ে টুইট করায় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রশান্ত ভূষণ
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদেকে নিয়ে টুইট করায় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে আদালত অবমাননার দায়ে দোষীসাব্যস্ত করে। তাঁকে কী শাস্তি দেওয়া হবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আগামী ২০ অগাস্ট এবিষয়ে নির্দেশ দেবে আদালত।
প্রাক্তন চার প্রধান বিচারপতিকে দায়ী করেন প্রশান্ত
দু'টি টুইট করার কারণে প্রবীণ এই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একটি টুইট ছ'বছরে ভারতের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য প্রাক্তন চার প্রধান বিচারপতিকে দায়ী করেন তিনি। অন্য টুইটে এস এ বোবদের সমালোচনা করেন।
কী লেখেন প্রশান্ত ভূষণ
প্রথম টুইটটিতে প্রশান্ত ভূষণ লেখেন, ভবিষ্যতে ইতিহাসবিদরা যখন গত ছ'বছরের দিকে ফিরে তাকাবেন, তখন দেখবেন জরুরি অবস্থা না হলেও কীভাবে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা ও চার জন বিচারপতির ভূমিকাটিও তাঁরা বিশেষভাবে চিহ্নিত করতে পারবেন। দ্বিতীয় টুইটে তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের হার্লে ডেভিডসন বাইকে চড়ার ছবি নিয়ে লেখেন, এমন একটা সংকটের সময় প্রধান বিচারপতি মাস্ক ও হেলমেট না পরে বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ অথচ এই লকডাউনে দেশের নাগরিকরা বিচার পাচ্ছেন না।
' ব্লো টু গান্ধী ফ্যামিলি', পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই আক্রমণাত্মক নাড্ডা