সেদিন ভেবেছিলে দিদি হেরে যাবে, হাওড়াতে ঢুকতেই দেব না! প্রকাশ্যে রাজীবকে তোপ তৃণমূল সাংসদের
বিধানসভা ভোটের আগে বিশেষ বিমানে দিল্লি উড়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। খোদ নিজের কেন্দ্রেই মুখ থুবড়ে পড়তেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন তিনি। যদিও সম্প্রতি ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন তিনি। অভিষেক বন
বিধানসভা ভোটের আগে বিশেষ বিমানে দিল্লি উড়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। খোদ নিজের কেন্দ্রেই মুখ থুবড়ে পড়তেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন তিনি। যদিও সম্প্রতি ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শাসকদলে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
যদিও বাংলাতে নয়, ত্রিপুরাতে বিশেষ দায়িত্বে রাজীব। যদিও তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই দলের মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। রাজীবের তৃণমূলে যোগদানের পরেই সুর চড়ান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার খোদ প্রাক্তন মন্ত্রীর খাস তালুকেই হুঁশিয়ারি শুনতে হল রাজীবকে। তাও আবার কিনা সতীর্থের কাছ থেকেই।
হাওড়া সদরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মঞ্চ থেকেই নাম না করে রাজীবকে হুঁশিয়ারি তাঁর। তিনি বলেন, ভোটের সময়ে যারা পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের কাউকে হাওড়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। সে অনেক বড় না মাতব্বর হলেও হতে পারে। কিন্তু হাওড়াতে আর নয়।
না থেমেই সাংসদ বলেন, কষ্টের দিনে চলে গিয়েছিলে। সেদিন ভেবেছিলে দিদি হেরে যাবে। দিদি যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন দিদি থাকবে। কেউ হারাতে পারবে না। বাড়ি চলে গেলে, প্লেনে উড়ে গেলে। এখন হেরে গিয়ে দিদির ছবি নিয়ে ঘুরছ। এখানেই থেমে থাকেননি প্রসুন। নাম না করে রাজীবকে নিশানা করে বলেন, উনি আবার বলেছেন, ওকে সবাই ভুল বুঝিয়েছে। বুড়ো দামড়া, ভুল বুঝবেন কী করে!
প্রকাশ্যে নাম না করে যে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীবকেই নিশানা করলেন তা কার্যত স্পষ্ট ছিল। শুধু প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগে ক্ষুব্ধ শীর্ষ নেতৃত্ব। কার্যত তা স্পষ্ট। কারণ কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে মুখ খোলেন সাংসদ সৌগত রায়ও। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ওদের নেওয়া হবে না।
এই বিষয়ে নেতৃত্বে ভাবার পরামর্শ দেন তিনি। অন্যদিকে রাজীবের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের দিনেই কার্যত বোমা ফাটান কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে জয়েন করিয়েছেন। বিষয়টি তাঁকে মেনে নিতে হবে।
তবে গত ভোটের সময় মমতাদি জোমজুড়ে প্রচারের গিয়ে যে বলেছিলেন, গড়িয়াহাটে তাঁর ৩-৪ টে বাড়ি আছে, টাকার লেনদেন দুবাইয়ে, তা সত্ত্বেও কেন তাকে দলে নেওয়া হল তা শীর্ষ নেতৃত্বই বলতে পারবেন। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের প্রতিক্রিয়া রাজীব টপ টু বটম করাপটেড। এমনকি প্রকাশ্যে গান গেয়েও রাজীব ইস্যুতে দলকে টার্গেট করেন এই সাংসদ। এবার সেই তালিকাতে প্রসুনও।
উল্লেখ্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে নেওয়া যাবে না। এই দাবিতে উত্তাল হয়েছিল হাওড়া। প্রকাশ্য রাস্তায় গদ্দার লেখা পোস্টারও পড়ে। কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বলেন, নিচু তলার কর্মীদের আবেগে আঘাত লাগে এমন কোনও কাজ করা হবে না। কিন্তু এরপরেও রাজীবকে দলে নেওয়ার বিষয়টি যে অনেকেই মেনে নিতে পারেনি তা কার্যত স্পষ্ট।