স্পেশ্যাল ট্রেনে যাত্রী সাধারণকেও যাতায়াতের সুযোগ দিতে হবে, অবরোধ ব্যান্ডেলে
স্পেশ্যাল ট্রেনে যাত্রী সাধারণকেও যাতায়াতের সুযোগ দিতে হবে, অবরোধ ব্যান্ডেলে
সোনারপুরের পর এবার ব্যান্ডেল। রেলের স্টাফ ট্রেনে উঠতে না দেওয়ায় পূর্ব রেলের হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় একের পর এক স্টেশনে সকাল থেকেই রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ সামিল সাধারণ যাত্রীরা। অবরোধকারীদের দাবি, আমজনতাকে না নামিয়ে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চালাতে হবে।
অবরোধকারীরা জানান, স্পেশ্যাল ট্রেনে রেলকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য যাতায়াতের সুযোগ দিতে হবে। স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে আমজনতাকে চাপতে দিতে হবে আর দ্রুত লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে। মূলত এই দুই দাবি সামনে রেখেই দফায় দফায় অবরোধ চলছে হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে। ফলে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই লাইনের ট্রেন পরিষেবা
কয়েকদিন আগেই দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুর স্টেশনে ঘটে গিয়েছিল ধুন্ধুমার কাণ্ড। রেলের স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে ওঠা আমজনতাকে জোর করে নামিয়ে দেয় আরপিএফ। সেই ঘটনার জেরে ট্রেনে উঠতে না পারা জনতা ব্যাপক ভাংচুর চালানোর পাশাপাশি রেল অবরোধও করে। তাদেরও একই বক্তব্য ছিল। এমনকি ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টিও করা হয়। সেই ঘটনার জেরে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ আমজনতার ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছিল।
রেলের দাবি, মহামারীকালে রেলের কর্মীরা যাতে বিনা সংক্রমণে যাতায়াত করতে পারেন তার জন্য স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। সেখান জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদেরও ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমজনতার জন্য হুট করে দরজা খুলে দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও জানায় যে রেল লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করতে প্রস্তুত। কেন্দ্র নির্দেশ দিলে আর রাজ্য ছাড়পত্র দিলেই তা চালু হয়ে যাবে।
যদিও তারপরেই নবান্ন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্য লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য কেন্দ্র সরকার তথা রেল মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু সেই চিঠির কোনও উত্তর যেমন আসেনি তেমনি কেন্দ্র বা রেল কোনও সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেনি।
যোগী সরকার মুসলমান-দলিত-আদিবাসীদের মানুষ বলে গণ্য করে না, তোপ রাহুলের