পাঁচলার গ্রামে ডাকাত কালী পুজো, প্রথা মেনে আজও হয় লুঠ
পাঁচলার গ্রামে ডাকাত কালী পুজো, প্রথা মেনে আজও হয় লুঠ
আজ থেকে প্রায় তিন-চার শতাব্দী আগের কথা। তখন গ্রামজুড়ে ঘন জঙ্গল, চারিদিকে ডাকাতদের আধিপত্য। ডাকাতদের হাত ধরেই হাওড়ার পাঁচলার সাহাপুর গ্রামে শুরু হয়েছিল কালীপুজো।
মাঝে কেটে গিয়েছে কয়েক'শো বছর। গ্রামজুড়ে আজ উধাও জঙ্গল, গ্রামে ডাকাতির ঘটনাও আজ প্রায় অতীত। কিন্তু আজও ঐতিহ্য ও নিয়মে অটুট ডাকাতদের হাতে শুরু হওয়া সাহাপুরের 'লুট কালী' পুজো। প্রথা মেনে আজও ডাকাত কালীপুজোয় হয় লুঠ। সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, গ্রামের বহু মানুষ মা'য়ের কাছে পুজো হিসাবে বিভিন্ন ফল নিবেদন করেন। সেই ফল বাঁশ দিয়ে ঘেরা থাকে।
বহু প্রাচীন রীতি মেনে আজও পুজো চলাকালীন একাধিক বার সেই ফল বা প্রসাদ লুঠ করেন ভক্তরা। আজও রীতি মেনে পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হলেও পুজোর দিন প্রতিমায় রঙ করে তা পুজো করা হয়।
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গ্রাম থেকে ডাকাতরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে গ্রামের সাধারণ মানুষই এই পুজোর দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসেন। ডাকাতদের হাত ধরে পুজোর সূচনা হলেও লুঠের কালীপুজো এখন বারোয়ারীর। কিন্তু ঐতিহ্য ও রীতিতে আজও অটুট পাঁচলার সাহাপুর গ্রামের এই বহু প্রাচীন কালীপুজো। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরই মাতৃ আরাধনায় মেতে ওঠার পালা। এখন তারই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
কালী বা কালিকা হলেন একজন হিন্দু দেবী। প্রধানত শাক্ত ধর্মাবলম্বীরা কালীর পূজা করেন। তন্ত্রশাস্ত্রের মতে, তিনি দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত ৷ তন্ত্রমতে পূজিত প্রধান দশ জন দেবীর মধ্যে প্রথম দেবী। বাঙালি হিন্দু সমাজে দেবী কালীর মাতৃরূপের পূজা বিশেষ জনপ্রিয়।
পুরাণ ও তন্ত্র গ্রন্থগুলিতে কালীর বিভিন্ন রূপের পরিচয় পাই আমরা৷ মা সিদ্ধেশ্বরী তাঁরই একটা রূপ৷ কালীবাবুর বাজারের কাছে অবস্থিত এই সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির হাওড়ার একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির৷ কারোর কারোর অরণিকা মতে এটি ৫০০ বছরের পুরানো আবার কারোর মতে ৬০০ বছরের৷
আনুমানিক ৩০০ বছর আগে মৃত্যুঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায় এই পূজার দায়িত্বভার অর্পণ করেছিলেন ভূকৈলাশ এর মহারাজা কে।বর্তমানে ব্যানার্জ্জী ও বটব্যালদেরা এই পুজোর সেবাইত৷
এই সপ্তাহেই কি বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়? উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পূর্বাভাস একনজরে