বিষমদ-কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭, সব পুলিশের দেখা সম্ভব নয়...! বললেন অরূপ
ঘুষুড়ি বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাত! যদিও ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এখনও পর্যন্ত অসুস্থ বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। অসুস্থদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঘুসু
ঘুষুড়ি বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাত! যদিও ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এখনও পর্যন্ত অসুস্থ বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। অসুস্থদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঘুসুড়ির জয়সোয়াল হাসপাতালে এবং বাকিদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাওড়ার ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ইতিমধ্যে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রতাপ কর্মকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ স্থানীয় মানুষজনের। দাবি, মালিপাঁচঘড়া থানার পিছন দিকেই রেললাইনের ধারে নিয়মিত বসত চোলাইয়ের ঠেক। মঙ্গলবার রাতেও সেখানে মদের আসর বসেছিল। সেখানেই চোলাই জাতীয় বিষ মদ খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভোররাতে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আর এরপরেই উত্তেজিত জনতা চোলাই মদে ভাঙচুর শুরু করে। অভিযোগ, এই বিষয়ে পুলিশ সব জেনেও কোনও দিন কিছু বলেনি। এমনকি পুলিশের একাংশের অঙ্গুলিহেলনে ধৃত প্রতাপ বিষ মদের কারবার করত বলেও অভিযোগ স্থানীয় মানুষজনের।
আর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই চরম বিতর্কে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, এইরকম ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। মানুষের মৃত্যু কখনই কাম্য নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য সরকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি পুলিশ দেখছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী। তবে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটল এই ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান অরূপ রায়। তবে তাঁর মতে, সরকারিভাবে রিপোর্ট জানার পর সরকার সহানুভুতির সঙ্গে বিষয়টি দেখবে।
এদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যেয়ের আমলে পুলিশ অন্যায় করলে তাঁদের ছাড়া হবে না। পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় কোথায় কি ঘটছে তা সব পুলিশের দেখা সম্ভব নয়। তবে পুলিশের যদি কোনও গাফিলতি থাকে তাহলে সরকার পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান হাওড়ার নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠী। উপস্থিত ছিলেন পুলিশের পদস্থ কর্তারাও। হাওড়া জেলা হাসপাতালে আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরাও এদিন উপস্থিত হন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা।