শ্যামপুরে 'অস্ত্র' কারখানা! দেখে নিন প্রস্তুতি পর্ব
শ্যামপুরে 'অস্ত্র' কারখানা! দেখে নিন প্রস্তুতি পর্ব
মাঝেমধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে বিভিন্ন অস্ত্র কারখানার হদিসের খবর। এবারও খোঁজ মিলল অস্ত্র কারখানার! খোদ শ্যামপুরের বুকে। তবে এ কারখানা আগ্নেয়াস্ত্রর নয়, এ কারখানা দেবদেবীদের হাতে থাকা নানা অস্ত্রের। সেই কারখানাতে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে।
অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা
দিন কয়েক পরেই মা তাঁর সন্তানদের নিয়ে মর্তে আসবেন। তার আগে মা ও তাঁর সন্তানদের হাতে থাকা নানা অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা। শ্যামপুরের গুটিনাগোড়ী গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে তৈরি হয় অস্ত্র। দুর্গার পাশাপাশি লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্ত্তিক, গণেশ, মহিষাসুরেরও অস্ত্র তৈরি হচ্ছে। এখান থেকেই অস্ত্র তৈরি হয়ে পাড়ি দেয় কোলকাতার বাজারে। কোলকাতা থেকে তা পৌঁছে যায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকি পাশ্ববর্তী একাধিক রাজ্যেও। বছরভর গ্রামে দেবদেবীদের অস্ত্র তৈরি হলেও মূলত দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর সময়েই চাহিদা বাড়ে। আর তাতে হাসি ফোটে শিল্পী ও শ্রমিকদের মুখে।
দৈনিক উপার্জন
এই সময় দৈনিক উপার্জনও বেশ কিছুটা বাড়ে। স্বভাবতই এখন শেষ লগ্নে সকাল থেকে রাত অব্ধি অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। যদিও এক মহিলা মালিকের কথায়, বর্তমান সময়ে বেড়েছে অস্ত্রের চাহিদা। কিন্তু সেই তুলনায় বাড়েনি তাদের উপার্জন। কারণ বেড়েছে কাঁচা মালের দাম। কিন্তু বাড়েনি উৎপাদিত পণ্যের দাম। এদিকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত এক শ্রমিকের কথায়, তিনি দীর্ঘ ছ'বছর আছেন এই পেশার সঙ্গে। কিন্তু সেই তুলনায় বাড়েনি তাদের উপার্জন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, নতুন করে এই শিল্পে কাজের জন্য আসছেনা কোনো শ্রমিক। ফলে চাহিদা মেটাতে রাত জেগে পুজোর সময় কাজ করতে হচ্ছে। তবুও সময় মত শেষ করা যাচ্ছে না কাজ। আর তার জেরেই এখন গুটিনাগোড়ী গ্রামের অস্ত্র কারখানায় ব্যস্ততা চরমে।
গাঁটে গোনা দিন
দুর্গাপুজো আসতে হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। এই উৎসব হিন্দুদের খুব বড় উৎসব। এই দিনের জন্য সারা বছর ধরে মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। মা দুর্গাকে উৎসর্গ করা হয় নটি দিন। সেই সময়টি নবরাত্রি বলা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে সেটি শুরু হচ্ছে। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে শারদীয়ার নবরাত্রি শুরু হয়। এই সময়টি বিশেষ শুভ। নবরাত্রি বছরের চারবার পালিত হয়। যার দুটি হল গুপ্ত নবরাত্রি এবং দুটি হল নবরাত্রি চৈত্র এবং শারদীয়া সঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এই নবরাত্রির। এটি শেষ হবে ৫ অক্টোবর অর্থাৎ বিজয় দশমীর সময়। এই সময়ে মা দুর্গার নটি রূপের বিশেষ পুজো হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্রে
জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয় মা দুর্গার ন'দিন ভক্তদের জন্য পৃথিবীতে আসেন এবং তাদের ওপর বিশেষ আশীর্বাদ করে থাকেন। মায়ের কৃপায় অনেকেই জীবনের দুঃখ কষ্ট দূরে চলে যায় এবং যে ভক্ত মন দিয়ে মাকে ডাকেন সে জীবনে সফলতা পান। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে নবরাত্রিকে খুব বিশেষ বলে মনে করা হয়। এবার চলতি বছরে মা দুর্গা আসছেন হাতিতে চড়ে। যা কিন্তু খুব শুভ।
মা দুর্গার হাতিতে চড়ে যাত্রা কিন্তু খুব শুভ কিন্তু কেন নবরাত্রিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। এবারের নবরাত্রি শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। বলা হয় নবরাত্রি যদি সোমবার বা রবিবার থেকে শুরু হয় তাহলে মা কিন্তু গজেই আসেন। তাই এবার চলতি বছরে মা সোমবার আসছেন, তাই তিনি হাতিতেই আসছেন। মা যখন গজে আসেন তখন সমৃদ্ধি,
বাঙালির প্যান্ডেল হ্পিংয়ের আনন্দের পথ সঙ্গী এই ব্র্যান্ড, জেনে নিন ইতিহাস