For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

ডোকলাম নিয়ে কেন উত্তাপ বাড়ছে ভারত-চিনের মধ্যে, জেনে নিন সমস্যার ইতিবৃত্ত

ডোকলামের তরাই এলাকার দখল নিয়ে ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। এই উত্তেজনার কারণ কী, কেন ভারত এই এলাকার দখল ছাড়তে রাজি নয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

  • |
Google Oneindia Bengali News

ডোকলামের তরাই এলাকার দখল নিয়ে ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। চিন বারবার এই এলাকার সেনা সরাতে বলে ভারতকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও ভূটানের পাশে দাঁড়িয়ে ডোকলাম এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে ভারত। এবং স্পষ্ট জানিয়েছে, বেজিং সেনা না সরালে একতরফা পিছু হঠবে না নয়াদিল্লি।[আরও পড়ুন:ডোকলাম নিয়ে গা-জোয়ারি করছে বেজিং, দাবি ভারতের, পাল্টা যুদ্ধের হুমকি চিনের]

ভারত, ভূটান ও চিনের সীমানায় ত্রিভূজাকৃতি বিন্দুতে অবস্থান এই ডোকলাম তরাই এলাকার। গত জুন মাসের শুরু থেকে এই এলাকার দখল নিয়ে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব চলছে। দুই দেশের সেনা একে অপরের দিকে অস্ত্র উঁচিয়ে রয়েছে। তিনদেশের এই সীমান্তে তৈরি হওয়া এই উত্তেজনার কারণ কী, কেন ভারত এই এলাকার দখল ছাড়তে রাজি নয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বর্তমান সমস্যা

বর্তমান সমস্যা

চিন বিতর্কিত ডোকলাম তরাই এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে সেখানে রাস্তা তৈরি করতে উদ্যত হয়। ভূটান জানিয়েছে, এই এলাকা চিনের নয়। বস্তুত ভারত-ভূটান-চিন সীমান্তের মাঝের একটি বিতর্কিত অংশ এটি। আর সেজন্যই ভূটানের পাশে দাঁড়িয়ে ডোকলামে সেনা নামিয়েছে ভারত। চিনের রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা আটকে দেওয়া হয়েছে।

কেন ভারত সরছে না

কেন ভারত সরছে না

সিকিমের যে এলাকায় চিন রাস্তা তৈরি করতে উদ্যত হয়েছে সেখান থেকে ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরের দূরত্ব খুব কম। এই এলাকার আর এক নাম 'চিকেনস নেক'। এই এলাকার অদূরে চিনকে ঢুকতে দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তা বড় ঝুঁকি হয়ে যাবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী এই এলাকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে বা এই এলাকা অরক্ষিত হয়ে পড়লে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বিপন্ন হবে।

শিলিগুড়ি করিডোরের গুরুত্ব

শিলিগুড়ি করিডোরের গুরুত্ব

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে যে এলাকা গোটা ভারতের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ রক্ষা করে সেটাই শিলিগুড়ি করিডোর বলে পরিচিত। এর একদিকে রয়েছে নেপাল ও অন্যদিকে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। একটু উপরের দিকেই ভূটান, তিব্বত ও পর্যায়ক্রমে চিন সীমান্ত। ফলে এই এলাকা ভূটান, নেপাল, বাংলাদেশ, সিকিম, দার্জিলিং ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে গোটা দেশের সংযোগ রক্ষা করে।

চিকেনস নেকের ইতিহাস

চিকেনস নেকের ইতিহাস

১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়ে বাংলা যেমন চিরতরে বিভক্ত হয়ে যায়। একদিক চলে যায় পূর্ব পাকিস্তানে যা বর্তমানে বাংলাদেশ নামে পরিচিত। শিলিগিড়ি করিডোরের অপর দিক জুড়ে থাকে নেপাল। এই এলাকা কিছু কিছু জায়গায় এতটাই সরু যে মাত্র ২৭ কিলোমিটার প্রস্থের ভারত সীমান্তের দুপাশে দাঁড়িয়ে নেপাল ও বাংলাদেশ। এখান থেকে ডোকলাম এলাকার দূরত্ব খুবই কম। চিনকে এই এলাকায় ডালপালা মেলার সুযোগ দিলে তা বড় সঙ্কট তৈরি করতে পারে। ভবিষ্যতে যুদ্ধ বাঁধলে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাণিজ্য বন্ধের আশঙ্কা

বাণিজ্য বন্ধের আশঙ্কা

২০০২ সালে ভারত-নেপাল-ভূটান-বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি মোতাবেক এই শিলিগুড়ি করিডোরকে 'ফ্রি ট্রেড জোন' বলে প্রস্তাব করা হয়। এর ফলে এই এলাকাকে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল হিসাবে ব্যবহার করে চারটি দেশ একে অপরের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন বাড়াতে পারবে। ফলে চিনকে ডোকলামে ঢুকতে দেওয়া মানে ভারত নিজেদের বিপদ ডেকে আনবে।

English summary
What is the reason of Doklam conflict between India and China in the context of Chicken's neck Siliguri Corridor
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X