মানকাডিং তুলে দেওয়ার পক্ষে সাওয়াল করলেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার
মানকাডিং তুলে দেওয়ার পক্ষে সাওয়াল করলেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার
মানকাডিং যখন যখন যখন হয়েছে তখন তখনই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এই আউটকে কেন্দ্র করে। আইপিএল-এর সময়ে জস বাটলারকে আউট করার উপায় হিসেবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন মানকাডিংকে বেছে নেওয়ার পরেও কম বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। একই রকম বিতর্ক তৈরি হয়েছে চার্লোট ডিনকে করা দীপ্তি শর্মার মানকাডিংকে নিয়েও। আইসিসি এই আউটকে মান্যকা দিয়েছে রান আউট হিসেবে। তবে, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার মইন আলি মনে করেন এই আউট ক্রিকেট থেকে তুলে নেওয়া উচিৎ।
আমি হলে কখনই করতাম না:
বর্তমানে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তান সফরে থাকা মইন আলিকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, তিনি কখনওই এমনটা করতেন না একমাত্র কারোর উপর যদি অত্যন্ত রেগে না থাকতেন। তাঁর কথায়, "না, এটা আমার কাজ নয়। আমার মনে হয় না আমি কারোর সঙ্গে এমনটা করব যদি আমি প্রচণ্ড কারোর উপর রেগে না থাকি। এটা নিয়মে রয়েছে এবং এতে অবৈধ কিছু নেই। ফলে যাঁরা এটা করেন তাঁদের করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমি আশা করি এটা সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না বা আউট করার জন্য এই উপায়ের অবলম্বন করা হবে না।"
ক্রিজের মধ্যে থাকা উচিৎ ব্যাটসম্যানদের:
মইন আলি আরও বলেছেন, "যাই হোক আপনাকে ক্রিজের মধ্যে থাকা উচিৎ। তবে, এটা কঠিন হয়ে যায়। আপনি বোলারের দিকে দেখেন না। আপনি মনে করেন যে বোলার এসে বোলিং করবে কিন্তু তাঁরা যদি থেমেও যায় আপনার মোমেন্টাম আপনাকে ক্রিজের বাইরে নিয়ে চলে যাবে।"
ক্রিকেট থেকে এই আউট তুলে নেওয়া উচিৎ:
এই আউটকে সম্পূর্ণ ভাবে ক্রিকেট থেকে তুলে নেওয়ার পক্ষে সাওয়াল করেছেন মইন আলি। তিনি বলেছেন, "আমার মনে হয় ওঁদের (ব্যাটসম্যানদের) এটা থেকে মুক্তি দেওয়া উচিৎ। আমরা মাঝে মধ্যে এটা নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু এটা আপনি করবেন কি ভাবে। কারণ ব্যাটসম্যানরা তখন মোমেন্টামে থাকে, একটা লাইন থাকা উচিৎ যার বাইরে আপনি যেতে পারবেন না। আম্পায়ার নো বলের জন্য কী ভাবে দেখে সেটা জানেনই। ওই ক্ষেত্রেও তারা একই কাজ করতে পারে।"
মইনের নেতৃত্বে পাকিস্তান সফরে ইংল্যান্ড:
মইন আলির নেতৃত্বে পাকিস্তান সফরে সাত ম্যাচের ঐতিহাসিক টি-২০ সিরিজ খেলতে এসেছে ইংল্যান্ড। প্রথম চার ম্যাচের মধ্যে উভয় দল দু'টি করে জিতেছে। প্রথম এবং তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় এবং চতুর্থ ম্যাচটি পাকিস্তান জিতেছে। যদিও চতুর্থ ম্যাচটি ইংল্যান্ডের হাতের মধ্যে থাকলেও অবিশ্বাস্য ভাবে তারা পরাজিত হয়েছে। বুধবার পঞ্চম ম্যাচে লাহোরের গাড্ডাফি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তান।