সাসপেন্ড এসডিপিও সায়ন আহমেদও, বগটুই গ্রামে পৌঁছলেন মনোজ মালব্য
রামপুরহাট-কাণ্ডে আরও কড়া নবান্ন। কড়া হাতে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, কাউকে না ছাড়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রামপুরহাট-কাণ্ডে আরও কড়া নবান্ন। কড়া হাতে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, কাউকে না ছাড়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর এরপরেই রামপুরহাট থানার আইসিকে সাসপেন্ড করা হয়। আর এরপরেই রামপুরহাটের এসডিপিও'র বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা।
জানা যাচ্ছে, এসডিপিও সায়ন আহমেদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও রামপুরহাট-কাণ্ডের পরেই ক্লোজড করা হয় তাঁকে। প্রথমেই যে দুই পুলিশ কর্তার ঘাড়ে খাঁড়া নেমে আসে তাঁরা হলেন রামপুরহাট থানার আইসি এবং এসডিপিও। এএনআই'য়ের খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যে রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদিব প্রামাণিককে সাসপেন্ড করা হয় বিকেলেই। আর এরপর সন্ধ্যায় সায়ন আহমেদকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
যদিও নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি সামনে প্রকাশ্যে এসেছে। যেটি গতকাল বুধবারের। সেখানে সায়ন আহমেদকে কম্পাসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলে পুরো ঘটনার পরিস্থিতি জানতে চান। আর এরপরেই পুলিশ প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পুলিশ কেন খবর পাওয়ার পরও দোষীদের গ্রেফতার করেনি? ঠিক সময় গ্রেফতার করা করলে ঘটনাটা নাও ঘটতে পারত। এখানে যিনি এসডিপিও ছিলেন, একটা খুন হয়ে যাবার পরও তিনি কেন কোনও ব্যবস্থা নেননি? এসডিপিও এবং আইসি'কে কেউই তাঁদের দায়িত্ব পালন করেননি বলেও মারাত্মক অভিযোগ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আর এরপরেই দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধেই কড়া ব্যবস্থা নেয় নবান্ন।
অন্যদিকে এলাকায় আস্থা ফেরাতে নিজে বগটুই গ্রামে পৌঁছে যাবে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। অন্ধকার গ্রামে একাধিক পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে ঘুরে বেড়ান তিনি। শুধু তাই নয়, ভয়ঙ্কর আগুনে পুড়ে যাওয়া একের পর এক বাড়িতেও যান ডিজি মালব্য। খতিয়ে দেখেন অবস্থা। এছাড়াও হাইকোর্টের নির্দেশে সিসিটিভি ঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখেন তিনি।
মূলত ঘটনার পর পুরুষশূন্য গোটা গ্রাম। ফের হতে পারে হামলা। এই আশঙ্কায় অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনেকে দেখা করতে এলেও সন্ধ্যার আগেই এলাকা ছাড়েন গ্রামবাসীরা। মূলত এলাকায় আস্থা ফেরাতেই এহেন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশের তরফে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ৫৪ জন করে পুলিশকর্মী গ্রামের নিরাপত্তায় থাকবেন। দিন এবং রাত মিলিয়ে দু'দফায় এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের নেতৃত্বে থাকবেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক জন আধিকারিকও। এমনটাই জানা যাচ্ছে।