পুজোর খরচা বাঁচিয়ে বাগুইআটিতে মেধাবী ছাত্রীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ
বাগুইআটির দরিদ্র অভাবী মেধাবী ছাত্রীর পাশে বাগুইআটি অশ্বিনীনগর বন্ধুমহল ক্লাব। পুজোর খরচা বাঁচিয়ে এলাকার ৯৫ শতাংশ পাওয়া মেধাবী ছাত্রীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এবছর বন্ধুমহল ক্লাবের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছে পাম্মিকেই।
করোনার দাপটে এমনি বাঙালির সেরা দুর্গা উৎসবের আনন্দ ম্রিয়মাণ। কোথাও জোরকদমে পুজো প্রস্তুতি নেই। কোনরকমে না হলেই নয় তেমনি ব্যবস্থাপনা অধিকাংশ পূজা কমিটির। কলকাতার পুজো কমিটিগুলোর মধ্যেও একই অবস্থা। করোনার আবহ যেন কেড়ে নিয়েছে বাঙালির সব আনন্দ টুকুই। তবুও আবেগ ভক্তি আর ভালোবাসা দিয়ে এ বছর পুজোর আয়োজন করছেন পুজো কমিটির কর্মকর্তারা। তেমনি প্রত্যেক বছরই বিপুল পরিমাণ খরচ করে পুজো করে বাগুইআটির এই পুজো কমিটি। তাই এবার বিরাট জাঁকজমক করে পুজো হচ্ছে না। কোনরকমে নামকাওয়াস্তে পুজো করবেন বলে জানান পূজা কমিটির সদস্যরা।
ক্লাব কমিটি আরো জানান, বাবা পেশায় রিকশাচালক। ক্লাবের পূজার্চনাও করেন। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। অথচ দারিদ্রতাকে জয় করে এগিয়ে চলেছে পাম্মি ঘোষাল। বাগুইআটির অর্জুনপুর চড়কতলার মেধাবী ছাত্রী এবছর মাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাড়ার তথা সবারই মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাই পুজোয় অতিরিক্ত খরচা না করে এবার সেই টাকায় গরীব দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন ক্লাব কমিটি। পাশাপাশি এলাকার মেধাবী ছাত্রী পাম্মি ঘোষালের পড়াশুনোর সব দায়িত্বই নিচ্ছেন বাগুইআটি অশ্বিনীনগর বন্ধুমহল ক্লাব।
ক্লাব সভাপতি পার্থ সরকার বলেছেন, 'পুজো ছোট হলেও সামাজিক কাজে মানুষের পাশে থাকতে হবে। কারণ লকডাউনে প্রচুর মানুষ সমস্যার মধ্যে আছেন। শুধু পাম্মি নয়, আগামী দিনে আরও অভাবী কিন্তু মেধাবী - এরকম পড়ুয়ার পাশে দাঁড়াতে আমরা প্রস্তুত।'
ক্লাবের সম্পাদক জানান, বাগুইআটি অন্নদাসুন্দরী স্কুলের ছাত্রী পাম্মি মাধ্যমিকে চমৎকার রেজাল্ট করেছে। লকডাউনের মধ্যে অবশ্য তাদের বাড়ির অভাব আরও প্রকট হয়েছে। সংসার চালানোই দায়। পড়াশুনোর টাকা কীভাবে জোগাড় করবে, চিন্তায় ছিল পাম্মি ও তার পরিবার। তখনই বন্ধুমহল ক্লাবের সদস্যরা এগিয়ে আসেন।
ক্লাবের অন্যান্য সদস্যেরা জানিয়েছেন, লকডাউন এবং করোনার জন্য এবার তাঁদের পুজো ছোট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সামাজিক কাজে তাঁরা এগিয়ে আসতে চান।