মিলল না স্বস্তি, জেলেই যেতে হল বিক্রমকে
বিক্রমের জামিনের আবেদন খারিজ, ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। পুলিশ নতুন করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায়নি।
তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের শেষে জেলেই পাঠানো হল অভিনেতা বিক্রমকে। সনিকা সিং চৌহান মৃত্যু মামলায় গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় বিক্রমকে। তিনদিন পুলিশ হেফাজতে রেখে জেরায় উঠে আসে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এরপরই সোমবার তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করে টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। প্রত্যাশিতভাবেই পুলিশের পক্ষ থেকে নতুন করে হেফাজতে চাওয়ার আবেদন জানানো হয়নি। শুনানি শেষে বিক্রমের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিক্রমকে গ্রেফতারের পর তাকে জেরা করে অনেক কিছুই জানতে পেরেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার সময়ে ও বিক্রম-সনিকার পাব থেকে বেরনোর সময়ের পার্থক্য ভাবিয়ে তুলেছিল তদন্তকারীদের। কিন্তু জেরায় বিক্রম জানিয়েছেন, মধ্যের ওই সময়টায় তাঁরা বিক্রমের সুইন-হো লেনের বাড়ির সামনেই গাড়িতে একান্তে সময় কাটিয়েছিলেন। রবিবার ভোর রাতে বিক্রমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে সেইরাতে কী ঘটেছিল তার পুনর্নিমাণও করে পুলিশ। এমনকী ওই রাতে জোরে গাড়ি চালানোর কথাও বিক্রম স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এরপরই পুলিশ আর নতুন করে বিক্রমকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে নতুন করে জেরার প্রয়োজন হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে জেলে গিয়েই জেরা করা হবে বলে টালিগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
সোমবার আলিপুর আদালেত বিক্রমের জামিনের আবেদনও জানান তাঁর আইনজীবী। অবশ্য তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। দু-পক্ষের সওয়াল-জবাবের পরই বিক্রমকে ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত থেকে বের করে বিক্রমকে সোজা প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে এখনই হাল ছাড়ছেন না বিক্রম। এই সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর জামিনের মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সেখানে অন্তত জামিন মিলবে বলে আশা অভিনেতা বিক্রমের।