কোন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিনেতা বিক্রমকে গ্রেফতার করল পুলিশ
বৃহস্পতিবার কসবার একটি শপিং মলের কাছ থেকে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিক্রমকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ। টালিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসার পরই গ্রেফতার ঘোষণা করা হয়।
অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে অবশেষে মডেল-অভিনেত্রী সনিকা চৌহান মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার কসবার একটি শপিং মলের কাছ থেকে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিক্রমকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ। টালিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসার পরই গ্রেফতার ঘোষণা করা হয়।[আরও পড়ুন:সনিকা মৃত্যুকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়]
সনিকা মৃত্যুর ৭০ দিনের মাথায় বিক্রমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা ৩০৪ দেওয়া হয়েছে বিক্রমের বিরুদ্ধে। ২৯ এপ্রিলের মাঝরাতের ঘটনার পাঁচদিন পরে চাপে পড়ে আলিপুর আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান বিক্রম।[আরও পড়ুন:বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বিক্রমের গ্রেফতারির পর ঠিক যা যা হয়েছে]
অভিযোগ, তারপর থেকেই বিক্রমের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ কয়েকদিন বিক্রমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে পুলিশের কাছে খবর আসে কসবায় একটি শপিং মলের কাছে মাঝরাতে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বিক্রম। এরপরই পুলিশ কসবায় গিয়ে বিক্রমকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার এতদিন পর কেন বিক্রমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সকলের মনে। কারণ এর আগে বারবার বিক্রমের গ্রেফতারি নিয়ে সনিকার পরিবার-বন্ধুরা সরব হলেও পুলিশ তা গ্রাহ্য করেনি।
পুলিশ সূত্রে আসলে যে সত্য উঠে আসছে তা হল, সনিকার মৃত্যু ও সেদিন রাতে রাসবিহারীর মোড়ে সেই গাড়ি দুর্ঘটনায় সমস্ত তথ্যপ্রমাণই বিক্রমের বিরুদ্ধে গিয়েছে। যেমন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ, যে পানশালায় তাঁরা পার্টি করেছিলেন সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ ও কর্মীদের বয়ান সবই বিক্রমের বিরুদ্ধে গিয়েছে।
পাশাপাশি সনিকা-বিক্রমের বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান, সনিকার বন্ধুদের গোপন জবানবন্দি, ফরেনসিক রিপোর্ট, বিক্রমের গাড়ি সংস্থার রিপোর্ট, সবই অভিনেতার বিরুদ্ধে কথা বলছে। ফলে বিক্রমকে গ্রেফতার করা ছাড়া আর উপায় ছিল না পুলিশের কাছে।