সনিকা মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার অভিনেতা বিক্রমের চার দিনের পুলিশ হেফাজত
মডেল-অভিনেত্রী সনিকা চৌহান মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত।
মডেল-অভিনেত্রী সনিকা চৌহান মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। এদিন বিক্রমকে আদালতে হাজির করানো হলে ১০ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কসবার একটি শপিং মলের কাছ থেকে বিক্রমকে থানায় ধরে নিয়ে এসে কিছুক্ষণ পর তাঁকে গ্রেফতার ঘোষণা করে কলকাতা পুলিশ। এরপরে সকালে দফায় দফায় বিক্রমকে সনিকা কাণ্ডে জেরা করেছে পুলিশ। [আরও পড়ুন : কোন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিনেতাকে বিক্রম গ্রেফতার করল পুলিশ]
গত ২৯ এপ্রিল মাঝরাতে কলকাতার লেক মলের কাছে রাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় সনিকা সিং চৌহানের। এই ঘটনায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ ওঠে বিক্রমের বিরুদ্ধে। সেইসময়ে বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো সহ একাধিক ধারায় বিক্রমের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ। [আরও পড়ুন : বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বিক্রমের গ্রেফতারির পর ঠিক যা যা হয়েছে]
সনিকা মৃত্যুর ঘটনায় যেগুলিকে লঘু ধারা বলেই মনে করা হচ্ছিল। সনিকার পরিবারের তরফেও দাবি করা হয় যাতে সত্য উদঘাটিত হয়। কীভাবে সনিকা মারা গেলেন, বিক্রম সেইসময়ে কী করছিলেন, এই সবই জানতে চেয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
সনিকার বন্ধুদের তরফেও পরে পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়া হয়। বিক্রম দাবি করেছিলেন তিনি সেদিন মদ্যপ ছিলেন না। পরে দাবি করেন, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাননি। যদিও সেদিন বিক্রম-সনিকা একসঙ্গে একটার বেশি পার্টিতে যান। সেখানে বিক্রম মদ্যপান করেন বলে গোপন জবানবন্দিতে জানান সনিকার বন্ধুরা।
এর পাশাপাশি সনিকার মৃত্যুর আসল সত্য জানতে চেয়ে স্যোশাল মিডিয়াতেও ঝড় আছড়ে পড়ে। প্রথমে টালিগঞ্জ থানা ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরে লালবাজারের বিশেষ দল তদন্তে নামে।
বিক্রমের গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষা হয়। বিক্রমের রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্রম যে মিথ্যা কথা বলেছেন তার প্রমাণ পুলিশের হাতে এসে গিয়েছে। এরপরই বিক্রমের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা যোগ করা হয়।
অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে বিক্রম যখন এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে কসবার একটি মলের কাছে গিয়েছিলেন, তখন সেখান থেকে অভিনেতাকে থানায় এসে পরে গ্রেফতার করা হয়। সনিকা মৃত্যুর প্রায় ৭০ দিনের মাথায় এই গ্রেফতারি ও অবশেষে বিক্রমের পুলিশ হেফাজত হল।