সনিকা মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতারি এড়াতে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের
ঘটনার একমাস পরে ৩০৪এ ধারা বদল করে ৩০৪ ধারা যুক্ত হওয়ায় গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।
সনিকা মৃত্যকাণ্ডে আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করলেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। সনিকা মৃত্যু মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা যুক্ত হয়েছে। ঘটনার একমাস পরে ৩০৪এ ধারা বদল করে ৩০৪ ধারা যুক্ত হওয়ায় হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলেন তিনি। আগামী সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হতে পারে।
বিক্রমের গাফিলতির জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটে এবং তারই জেরে বান্ধবী সনিকার মৃত্যু বলে অভিযোগ। সেইমতো সনিকা মৃত্যু মামলায় যুক্ত হয় ৩০৪ এ ধারা। কিন্তু সেই জামিযোগ্য ধারা বদলে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা দেওয়া হয় বিক্রমের বিরুদ্ধে। ফলে বেড়েছে বিক্রমের গ্রেফতার সম্ভাবনা। সেই কারণেই সোমবার হাইকোর্টে গিয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানালেন তিনি।
তাঁর আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, এখনই এই মামলায় বিক্রমকে গ্রেফতার করা যাবে না। কারণ গ্রেফতারের আগে আদালতের শুনানির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে পুলিশকে। এখন বিক্রমের আবেদন গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। এরপর শুনানিতে দুই পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল জবাবের পর আদালত কী রায় দেয় তার উপরই নির্ভর করে রয়েছে বিক্রমের ভাগ্য।
পরিস্থিতি যা, তাতে বিক্রমকে বিচারক গ্রেফতারের নির্দেশ দিতেও পারেন। আবার কঠিন শর্তে জামিন দিতেও পারেন। বিক্রমের হয়ে আদালতে যেমন তাঁর আইনজীবীরা যুক্তি খাঁড়া করবেন, ঘটনার এতদিন পর কেন তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা যুক্ত করা হল? বিক্রমের আইনজীবীদের আরও যুক্তি থাকবে, বিক্রম চট্টোপাধ্যায় বরাবর তদন্তে সাহায্য করে এসেছেন। এখনও তিনি সাহায্য করে চলেছেন। তাই তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করা হোক।
পাশাপাশি সরকারি আইনজীবীরাও বিক্রমের বিভ্রান্তিকর বানের পর্সঙ্গ তুলে ধরে তাঁর জামিন খারিজের আবেদন জানাবেন। আবেদন জানাবেন তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। এখন সেই সওয়াল-জবাবের কী রায় জেন বিচারক সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।