বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বিক্রমের গ্রেফতারির পর ঠিক যা যা হয়েছে
বেশ কিছুদিন ধরেই বিক্রম পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিক্রমের খোঁজ পায় পুলিশ। জানতে পারে কসবায় রয়েছেন বিক্রম। তারপরই তাঁকে গিয়ে ধরে পুলিশ।
কসবার শপিং মলের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে গ্রেফতার করা হয় সনিকা সিং চৌহান মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে। পুলিশের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই বিক্রম পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিক্রমের খোঁজ পায় পুলিশ। জানতে পারে কসবায় রয়েছেন বিক্রম। তারপরই তাঁকে গিয়ে ধরে পুলিশ।[আরও পড়ুন:সনিকা মৃত্যুকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়]
বিক্রমকে ধরতে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ কসবার শপিং মলের কাছে যান টালিগঞ্জ থানা ও কলকাতা পুলিশের বিশেষ অফিসাররা। সেখান থেকে বিক্রমকে টালিদঞ্জ থানায় নিয়ে এসে গ্রেফতার ঘোষণা করা হয়। বিক্রমের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা করেছে পুলিশ।[আরও পড়ুন:কোন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিনেতাকে বিক্রম গ্রেফতার করল পুলিশ]
রাতে অভিনেতা বিক্রমকে টালিগঞ্জ থানার লক আপে রাখা হয়। তারপর এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় বিক্রমকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। যে তথ্যপ্রমাণ তাঁরা হাতে পেয়েছেন, সেটাকে মাথায় রেখেই ফের বিক্রমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিক্রম এর আগে যে বয়ান তদন্তকারীদের দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে বিক্রমের এখনের বয়ানে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিক্রম আগে জানিয়েছিলেন তিনি গাড়ি চালানোর সময়ে মদ্যপ ছিলেন না। একশো কিলোমিটারের বেশি স্পিডে গাড়িও চালাননি। এই সমস্ত তথ্য মাথায় রেখেই বিক্রমকে জেরা করা হয়েছে।
এরপরে এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বিক্রমকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। সেখানে বিক্রমকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। বিক্রম-সনিকার দুর্ঘটনা ও সনিকার মৃত্যু এই সমস্ত কিছুর মাঝে বেশ কিছু মিসিং লিঙ্ক রয়েছে। যা বিক্রমকে জেরা না করলে উঠে আসবে না বলে পুলিশ মনে করছে। আর সেজন্যই বিক্রমকে হেফাজতে চাইবে পুলিশ।