মিজোরাম থেকে গোয়া, জঙ্গল ঘিরে এই অফবিট জায়গাগুলি পর্যটনের 'স্বর্গ'
যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার আর বেড়ানোর আনন্দকে এক করে নিতে ভালোবাসেন ,তাঁদের জন্য জঙ্গলের কিছু অফবিট ঠিকানা রইল। খোঁজ রইল দেশের কিছু অজানা জঙ্গলের।
পাহাড় বা সমুদ্র বাদে প্রকৃতি নিজেকে অন্যভাবে তুলে ধরেছে জঙ্গলের রূপ নিয়ে। শুধুমাত্র পর্যটকদের প্রতি সেই প্রকৃতির হাতছানিই যথেষ্ট , এর রূপ সৌন্দর্য আস্বাদনের পক্ষে। তবে যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার আর বেড়ানোর আনন্দকে এক করে নিতে ভালোবাসেন ,তাঁদের জন্য জঙ্গলের কিছু অফবিট ঠিকানা রইল। খোঁজ রইল দেশের কিছু অজানা জঙ্গলের।
মওফ্লাঙ, মেঘালয়
উত্তর পূর্বের প্রকৃতির একটা অমোঘ আকর্ষণ এমনিতেই থাকে ভ্রমণপিপাষুদের কাছে। আর সেই হাতছানিরই আরেক নাম মওফ্লাঙ। খাসি পাহাড়ের গায়ে মুড়ে থাকা জঙ্গল এই এলাকাকে অন্যরকম করে সাজিয়েছে। এই এলাকা স্থানীয়ভাবে লও কেনটাং নামে পরিচিত। এলাকাবাসীরা মনে করেন এই এলাকায় জঙ্গলের ঈশ্বর বসবাস করেন। এখানে অনেক কটি গাছই রয়েছে যাদের বয়স ১০০০ বছর প্রায়। এমনই দাবি স্থানীয়দের। গুয়াহাটি থেকে এই এলাকায় গাড়িতে এলে বেশি সুবিধা হয়।
[আরও পড়ুন:দক্ষিণ ভারতে একবার মেঘামালাইতে বেড়াতে না গেলে আফসোস করবেন]
জুকৌ উপত্যকা, নাগাল্যান্ড
নাগাল্যান্ডের মাউন্ট জাপফু থেকে নেমে আসার পর জুকৌ উপত্যকার সবুজ আপনার চোখ জোড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। এখানের পাহাড়ে ট্রেকিং করার পক্ষেও বেশ কিছু ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকেই এই এলাকায় টেন্ট খাটিয়ে থেকে যান , শুধুমাত্র প্রকৃতির রূপের টানে। ডিমাপুর থেকে বাস বাল ট্য়াস্কিতে এই এলাকা কাছে হয়। এছাড়াও কোহিমা থেকেও গাড়িতে এখানে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়।
নামেরি ন্যাশনাল পার্ক, আসাম
বন্যপ্রাণীদর জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখতে হলে অসমের নামেরি ন্যাশনাল পার্ক পর্যটকদকের একবার বেড়িয়ে নেওয়া উচিত। পাহাড়ের গায়ের বন -বাংলোতে থাকার মধ্যে যে অ্যাডভেঞ্চার রয়েছে, তার জুরি মেলা ভার। গুয়াহাটি থেকে এই এলকা ২৪০ কিলোমিটার। তেজপুর বিমাবন্দর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রয়েছে এই এলাকা।
তীর্থান উপত্যকা, হিমাচলপ্রদেশ
হিমাচলের সৌন্দর্যকে পরম স্নেহে যেন প্রকৃতি আগলে রেখেছে। সেই প্রকৃতি নিজের খেয়ালখুশি মতো তিলে তিলে হিমাচলের সবুজের সঙ্গে পাহাড়ের তুষারকে মিলিয়ে দিয়েছে। আর এখানের সবুজের সৌন্দর্য উপভোগ করেত হলে যেতে হবে তীর্থান উপত্যাকায়।পাহাড়ি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদী পেরিয়ে এক অন্যন্য প্রকৃতির রূপকে খুঁজে বার করার ঠিকানা এই এলাকা। কুলু থেকে এই জায়গা বেশ কাছে। এছাড়াও চণ্ডীগড় থেকেও যাওয়া যায় এই এলাকায়।
ব্লু মাউন্টেন, মিজোরাম
উত্তর পূর্বের নীল পাহাড়ের রূপ দেখতে হলে মিজোরামের ফাংপুই সঠিক এলাকা। ইন্দো-মায়ানমার সীমান্তের কাছে এই এলাকা ব্লু মাউন্টেন নামে খ্যাত। এই এলাকা ঘিরে রয়েছে ন্যাশনাল পার্ক। আইজল থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরের ব্লু মাউন্টেন চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দায় এর রূপকে।
সুবুক, দক্ষিণ সিক্কিম
সিক্কিমের সুমবুক পাহাড়ি এলাকার মধ্যে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। এখান থেকে শুধু প্রকৃতিই নয়, বিভিন্ন ধরনের পাখীও দেখা যায়। এছাড়াও ফুলে ঢাকা পাহাড় এখানের অন্যতম আকর্ষণ। বাগডোগরা থেকে এই এলাকা ৭৭ কিলোমিটারের দূরত্বে অবস্থিত।
মোল্লেম, গোয়া
গোয়ার মোল্লেম এমনই এক এলাকা যেখানে গোটা এলাকাই মোড়া রয়েছে সবুজে। এখানের ভগওয়ান মহাবীর অভয়ারণ্য সত্যিই ঘুরে দেখাবার মতো এলাকা। তেরোশ শতকের এক পুরনো মন্দির এখানে অবস্থিত। যা নিঃসন্দেহে বিরল তথা আকর্ষণীয়। মাদগাঁও রেলস্টেশন থেকে এই এলাকা ৫০ কিলোমাটারের দূরত্বে অবস্থিত।