(ছবি) জেনে নিন ভারতের কোন জায়গা খুব দ্রুত অবলুপ্তির পথে এগোচ্ছে
পৃথিবীতে যে জিনিসটা সবচেয়ে ধ্রুবসত্য তা হল পরিবর্তন। প্রতিনিয়ত সবকিছুর পরিবর্তন হয়ে চলেছে। কোনও কিছুই থেমে নেই। পরিবর্তনই জগতের নিয়ম।
আর এই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের ফলেই কিছু জিনিস ভালো হচ্ছে, কিছু আবার বিলুপ্তপ্রায় আকার নিচ্ছে। জীবজগত সহ প্রাকৃতিকজগতের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। আর সেজন্যই ভারতের কয়েকটি দারুণ সুন্দর জায়গা ক্রমেই হারিয়ে যেতে বসেছে। নিচের স্লাইডে দেখে নিন ভারতের কয়েকটি এমন জায়গার ছবি যা প্রায় বিলুপ্তপ্রায় হতে বসেছে।
বলপকম অরণ্য
মেঘালয়ের দক্ষিণ গারো পাহাড়ের এই জঙ্গলটি নিয়ে নানা গল্প রয়েছে। বলা হয়, এই পাহাড়ি জঙ্গলটি নাকি অতৃপ্ত আত্মাদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা। স্থানীয়রা নানা অদ্ভুত ঘটনা চাক্ষুষ করেছেন বলেও জানিয়েছেন। তবে পাহাড়ের গায়ে চাষ ও খনি থেকে কয়লা তোলা সহ নানা ঘটনায় দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে এই জায়গাটি।
ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভ
ওড়িশায় অবস্থিত এই ম্য়ানগ্রোভ এলাকাটি নোনতা জলের কুমীর, সাদা কুমীর, ভারতীয় পাইথন সাপ, শঙ্খচূড় সাপের আবাসস্থল। তবে মানুষের উৎপাতে ও জঙ্গল কেটে নেওয়ায় খুব দ্রুত বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে এটি।
চিকতান দুর্গ
জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিলে অবস্থিত এই দুর্গটি ষোড়শ শতকে তৈরি হয়। শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে বাঁচতে পাহাড়ের উপরে গা কেটে এই দুর্গটি তৈরি হয়। পরে উনিশ শতকে শেষদিক থেকে অবহেলা ও অযত্নে এই অসাধারণ স্থাপত্যটি ধ্বংসের মুখে গিয়ে পড়ে।
হেমিস ন্যাশনাল পার্ক
লাদাখে অবস্থিত এই ন্যাশনাল পার্কটিতে অবলুপ্তের পথে যাওয়া 'স্নো লেপার্ড' দেখতে পাওয়া যায়। তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বরফ গলে যাওয়ায় তাও খুব দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে।
কাজিরাঙা অভয়ারণ্য
কাজিরাঙার জঙ্গল বাঙালির খুবই পছন্দের। সারা পৃথিবীতে এখানেই একমাত্র অবলুপ্তির পথে চলা এক শিংওয়ালা গন্ডার দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও নানা প্রাণীর বাস এই অভয়ারণ্যে। তবে চোরাশিকারিদের উৎপাতে এই অভয়ারণ্য়ের প্রাণীরাও অবলুপ্তির পথে যেতে বসেছে।
লাক্ষাদ্বীপের কোরাল রিফ
লাক্ষাদ্বীপে সমুদ্রের নিচের কোরাল রিফ দেখলে এককথায় মুগ্ধ হতে হয়। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দূষণের ফলে খুব দ্রুত ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এটি।
মাজুলি
অসমের এই জায়গাটি ব্রহ্মপুত্র নদীর ব-দ্বীপ এলাকা। তবে ব্রহ্মপুত্রের বেড়ে চলা ক্ষয়ে এই অঞ্চলটি দ্রুত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে।
রাখীগড়হি
হরিয়ানার এই শহরটি ইতিহাসের সাক্ষী। নানা ঐতিহাসিক স্থাপত্য রয়েছে এখানে। সিন্ধু সভ্যতার ইতিহাস বহন করে চলেছে এই এলাকা। সেইসময় এটি সবচেয়ে বড় শহর ছিল বলে শোনা যায়। তবে সেইসব স্থাপত্য এখন প্রায় অবলুপ্তির পথে দাঁড়িয়ে।
সুন্দরবন
প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণ যেন মিলেমিশে গিয়েছে জতিসংঘের হেরিটেজ সাইট স্বীকৃতি পাওয়া সুন্দরবনে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ এলাকা এবং একমাত্র এখানেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলে। তবে নানা প্রাকৃতিক ও মানুষের সৃষ্টি করা কারণে বিপন্ন অবস্থা এই এলাকার।
পশ্চিমঘাট পর্বতমালা
পাহাড়, অরণ্য ও প্রকৃতি যেন মিলেমিশে গিয়েছে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা এলাকায়। তবে খুব দ্রুত একে ঘিরে গড়ে উঠছে কংক্রিটের জঙ্গল। এভাবে চলতে থাকলে এটি ধ্বংসেপ পথে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।