গুগল সার্চে জেল পর্যন্ত হতে পারে! আটটি কিওয়ার্ড নিয়ে সাবধানবাণী
গুগল সার্চে জেল পর্যন্ত হতে পারে! আটটি কিওয়ার্ড নিয়ে সাবধানবাণী
কোনও প্রয়োজনে কোনো শব্দ সম্পর্কে জানা কিংবা কোনও বিষয় সম্পর্কে জানতে গুগলের জুড়ি মেলা ভার। মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা, যে কোনও কিছু সম্পর্কে অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে গুগল সাধারণ মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, কোনও কিছু জানার দরকার হলেই আছে গুগল।
নিষিদ্ধ শব্দ/ বিষয় অনুসন্ধানেও গুগল
অনেকে গুগলে অনেক কিছু সার্চ করেন, যা নিয়ে সমাজে কাউকে প্রকাশ্যে কিছু বলা যায় না। কিন্তু যদি সেই অনুসন্ধানকারী মনে করেন, তিনি সেই অনুসন্ধানের ইতিহাস মুছে ফেলবেন, তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন। এব্যাপারে বলে রাখা ভাল গুগলের নিজেস্ব টিম রয়েছে, যাঁরা নিয়মিত নজর রাখেন, কোথা থেকে কী সার্চ করা হচ্ছে। অনুসন্ধানকারী অনুসন্ধানের ইতিহাস মুছে ফেলার আগেই তা গুগলের এন্ডে পৌঁছে যায়। যে কারণে গুগল সার্চে কোনও শব্দ সম্পর্কে অনুসন্ধানের আগে সতর্ক হতে হবে।
হতে পারে কারাদণ্ড
গুগল সার্চে কিছু শব্দ রয়েছে, যেগুলো সার্চের ক্ষেত্রে মারাত্মক পরিণতি, এমন কী কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। সেই কারণে গুগলে বেশ কিছু কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ না করাই ভাল।
কীভাবে বোমা তৈরি হয়
কোনও অনুসন্ধানকারী যদি মনে করেন, তিনি বোমা তৈরি করবেন, তাহলে গুগল সার্চে সেকথা দিলে বিপদে পড়ে যাবেন। কেননা এই বিষয়গুলি পুরোপুরি নজরে রাখছে দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। সেই কারণে কখনই গুগলে বোমা তৈরির পদ্ধতি জানতে অনুসন্ধান করা যাবে না। তা করলেই নিরাপত্তা সংস্থাগুলি নির্দিষ্টভাবে হানা দিতে পারে।
চাইল্ড পর্নোগ্রাফি
এই শব্দবন্ধও গুগল সার্চে খারাপ অনুসন্ধানের মধ্যে পড়ছে। এক্ষেত্রেও অনুসন্ধানকারীর জেল পর্যন্ত হতে পারে। কেননা চাইল্ড পর্নোগ্রাফি শিশুদের যৌন শোষণের মধ্যে পড়ে। যা পড়ে যাবে পকসোর মধ্যে। ভারতে শিশু ও নাবালক পর্নোগ্রাফির নিয়ে কঠোর আইন রয়েছে। এই শব্দবন্ধের অনুসন্ধানকে সেই ব্যক্তির অপরাধমূলক মানসিকতা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
গর্ভপাত নিয়ে
কোনও অনুসন্ধানকারী যদি গর্ভপাত নিয়ে গুগলে সার্চ করেন, তাহলে তিনি আইনি ব্যবস্থার মুখে পড়তে পারেন। কেননা ভারতে গর্ভপাত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। একজন চিকিৎসক এব্যাপারে অনুমতি দিতে পারেন।
কাস্টমার কেয়ার নম্বর
অনেকেই গুগলে কোনও ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ার নম্বর জানতে সার্চ করেন। কিন্তু হ্যাকাররা এব্যাপারে তাদের সাহায্যকারী নম্বরগুলিতে ওপরে তুলে রাখতে যাবতীয় ব্যবস্থা করে রেখেছে। কেউ ভুল করে কোনও ভুল নম্বরে ফোন করলে তিনি আর্থিকভাবে প্রতারিত হতে পারেন। সেই কারণে ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সেই নম্বর নেওয়া বাঞ্চনীয়। এব্যাপারে গুগলে গিয়ে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট পেতে গেলে সঠিক শব্দ টাইপ করতে হবে। এক্ষেত্রে গুগল সার্চ করে নয় সঠিক ইউআরএল টাইপ করে ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে যাওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। কেননা এক্ষেত্রে প্রতারকরা ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটের প্রতিরূপ তৈরি করে প্রতারণা করতে পারে।
ওষুধ ও চিকিৎসা
গুগলে কোনও চিকিৎসকের সম্পর্কে খোঁজ না করাইভাল। কেননা কোনও একটি ছোট ওষুধ লেখার পিছনে চিকিৎসকের দীর্ঘদিনের অধ্যবশায় রয়েছে। কোনও অনুসন্ধানকারী সামান্য কোনও স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে যত্ন নিতে, প্রাথমিক চিকিৎসা, খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতেই পারেন, তবে গুগল সার্চ করে ওষুধ কিংবা সাপ্লিমেন্ট না কেনাই ভাল।
কীভাবে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদান করা যায়
কোনও অনুসন্ধানকারী যদি গুগলে সার্চ করে জানতে চান, কীভাবে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদান করা যায়, তাহলে সেই ব্যক্তি জটিলতর আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন।
অ্যাপস ও সফটঅয়্যার
গুগল সার্চে গিয়ে অপরিচিত কোনও ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ও সফটঅয়্যার ডাউনলোড না করাই ভাল। যা করতে গেলে ম্যালঅয়্যার অ্যাপ ফএানে ঢুকে যেতে পারে। এই বিষয়টি যেমন ফোনের স্পিড কমিয়ে দেবে, তা অন্যদিকে ব্যক্তিগত তথ্যও চুরি করতে পারে।
স্টক মার্কেট ও ট্রেডিং-এর পরামর্শ
অনেকেই অনলাইনে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গুগল সার্চে গেলে এরকম বহু ওয়েবসাইট পাওয়া যাবে। এগুলিকে বিশ্বাস না করাই ভাল। অনুসন্ধানকারী প্রতারণার ফাঁদে পড়ে যেতে পারেন। আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখেও পড়তে পারেন অনুসন্ধানকারী। এব্যাপারে বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটের ওপরে বিশ্বাস করা উচিত।