মমতার দাদা, ভাই ক্রীড়া সংস্থার মাথায় কেন, তোপ বিরোধীদের
সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক আলি ইমরান রামজ বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর দাদাকে বসানো হয়েছে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মাথায়। আর ছোটো ভাই বেঙ্গল ফুটবল টিমের দায়িত্ব পেয়েছেন। এঁরা চেকে স্বাক্ষর করতে পারবেন। অর্থাৎ যখন খুশি টাকা তুলতে পারবেন। জীবনে কোনও দিন খেলাধুলো করেননি। কী যোগ্যতায় এই পদগুলি দেওয়া হল? টাকা তোলার ক্ষমতা দেওয়া হল কেন? কারণ মুখ্যমন্ত্রীর চোখে ভালো সাজতে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র এ সব করেছেন।"
এ কথার জবাবে রে-রে করে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে তাঁরা শান্ত হন। জবাব দিতে উঠে মদন মিত্র বলেন, "আপনারা কিছুই খোঁজ রাখেন না। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কে? সিএবি সভাপতি কে? খেলোয়াড় নন যাঁরা, তাঁরাও তো ইস্ট বেঙ্গল আর মোহনবাগান ক্লাবের মাথায়। তখন কথা ওঠে না কেন?" মদন মিত্রকে সমর্থন করে যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, "বাম আমলে অলিম্পিয়ানদের ভাতা দেওয়া হত দু'হাজার টাকা। আমরা তা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করেছি। খেলোয়াড়দের উন্নয়নে এই সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।"
অরূপবাবুর মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মাল। তিনি বলেন, "ক্লাবে রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছিল এই যুক্তিতে যে, খেলাধুলোর মানোন্নয়ন ঘটবে। কিন্তু শাসক দলের নেতাদের ঘনিষ্ঠ, এমন ক্লাবই শুধু টাকা পেয়েছে। আমি কয়েকটি ক্লাবের নাম সুপারিশ করেছিলাম। কেউ এক পয়সাও পায়নি।" বাম বিধায়করা আরও অভিযোগ করেন, দক্ষিণবঙ্গের ক্লাবগুলিতে দু'লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। অথচ উত্তরবঙ্গের ক্লাবগুলিকে দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। কেন এই বৈষম্য, জবাব দিক রাজ্য সরকার। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র অবশ্য বলেন, সবাইকে সমান টাকা দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা সঠিক তথ্য দিচ্ছে না।