বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড খরচ বেঁধে দিল মমতার সরকার! একনজরে কোন খাতে কত টাকা
রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকেই আসছিল অভিযোগ। মূলত কোভিড টেস্ট ও পিপিই কিটের জন্য বেশি মূল্য ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছিলেন রোগীরা। বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতি রাজ্য সরকারের অনুরোধে কাজ না
রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকেই আসছিল অভিযোগ। মূলত কোভিড টেস্ট ও পিপিই কিটের জন্য বেশি মূল্য ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছিলেন রোগীরা। বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতি রাজ্য সরকারের অনুরোধে কাজ না হওয়ায় এবার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার।
করোনা সংক্রমণের জের! পোস্টাল ব্যালটের জন্য নিয়ম বদল মোদী সরকারের, একনজরে কারা পাবেন সুবিধা
কোভিড টেস্টের খরচ
কোভিড টেস্টের খরচ আগে কমেছিল বাইরের রাজ্যে। সেই সময়ই রাজ্য সরকারের তরফে টেস্টের খরচ কম করতে অনুরোধ করা হয়েছিল বেসরকারি সংস্থাগুলি এবং হাসপাতালগুলির কাছে। কেউ শুনেছিল কেউ শোনেনি। কোনও কোনও বেসরকারি হাসপাতাল ২৫০০ আবার কেউ কেউ ৪৫০০ টাকা নিয়ে যাচ্ছিল টেস্টের জন্য। শুক্রবার জারি করা রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভিড পরীক্ষার জন্য এখন থেকে ২২৫০ টাকার বেশি কোনও সংস্থা নিতে পারবে না।
পিপিই কিটের জন্য খরচ বেধে দিল সরকার
বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকে পিপিই কিটের জন্য বেশি খরচ ধরার অভিযোগের পাশাপাশি বেশি সংখ্যায় পিপিই কিট ব্যবহার দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। সেখানে প্রতিটি কিটের জন্য ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা করে দেখানোর পাশাপাশি রোগী পিছু দিনে ৫ থেকে ৭ টি কিটের ব্যবহার দেখানোর অভিযোগ ছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। সরকারের অনুরোধ পর অনেক হাসপাতাল জানিয়েছিল তারা রোগী পিছু দিনে দুটি করে কিট খরচ করছেন। পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল এক-একটি পিপিই কিটের দাম ৪০০ টাকার বেশি হতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশিকায় শুক্রবার বলা হয়েছে, পিপিই কিট সব অন্যসব প্রোটেকটিভ গিয়ারের জন্য দিনে ১০০০ টাকার বেশি খরচ দেখানো যাবে না।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী পিছু পরামর্শের খরচও বাঁধা হল
রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের প্রতিদিনের কনসালটেশন ফি ১০০০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে অভিযোগ করে বলেছিলেন একএকজনের জন্য ৫ হাজার টাকা করে কনসালটেশন ফি নেওয়া হচ্ছে।
দিল্লি, তেলেঙ্গানা, কর্নাটকের পথ অনুসরণ
এর আগে দিল্লি, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক সরকার বেসরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসার খরচ বেঁধে দিয়েছিল। এবার বাংলাও সেই পথ অনুসরণ করল।
রাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারি
বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট রেটের উর্ধ্বসীমা লঙ্ঘিত হলে, আইন অনুযায়ী, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।