বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা! তিন কোটি প্রতিষেধক জোগাড় করতে পরিকল্পনা মমতা সরকারের
বাংলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার ইতিমধ্যে ১৬ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে বাংলায় করোনায় মারাত্মক আকার নিতে পারে। যদিও ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী
বাংলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার ইতিমধ্যে ১৬ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে বাংলায় করোনায় মারাত্মক আকার নিতে পারে। যদিও ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও তথ্য বলছে বাংলায় এক কোটি বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘন্টা আগে নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
তিন কোটি প্রতিষেধক জোগাড় করতে পরিকল্পনা
ক্ষমতায় ফিরলেই বিনামূল্যে দেওয়া হবে করোনার টিকা। আগামী ৫ তারিখ থেকে দেওয়া হবে বিনামূল্যে করোনার এই টিকা। হাতে কম সময়। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের থেকে আগাম এবং লিখিত অনুমতি নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে তিন কোটি করোনার ভ্যাকসিন জোগাড় করতে পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, সরকার যেমন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও একই পদক্ষেপ করার সুপারিশ দিচ্ছে প্রশাসন।
টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাকে চিঠি দেবে রাজ্য
টিকা কেনার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। আর সেই লক্ষ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাশাপাশি প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকেও চিঠি দেবে সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের সূত্র জানাচ্ছে, তিন কোটির মধ্যে ২ কোটি করোনার ভ্যাকসিন রাজ্য নিজের কাছে রাখবে। বাকি এক কোটি প্রতিষেধক বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য ভাবা হয়েছে। এই প্রতিষেধক পাওয়া গেলে রাজ্যের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের প্রতিষেধক নিশ্চিত করা যাবে বলে স্বাস্থ্য-কর্তাদের আশা। সূত্রের দাবি, প্রতিষেধক উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকা আনতে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও অনুমতি দিয়েছে রাজ্য ইতিমধ্যে।
রাজ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে অক্সিজেনের অভাবের কথা উঠে আসছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, বাংলায় অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, যেখানে রাজ্যে প্রতিদিন ২২৩ মেট্রিকটন অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, সেখানে প্রতিদিন রাজ্যে অক্সিজেন উৎপাদনের পরিমাণ ৪৯৭ মেট্রিকটন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার শিল্পে অক্সিজেন বন্ধের জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছে। ফলে আপাতত অক্সিজেন সংকটের মতো কোনও কথাই উঠতে পারে না। অন্যদিকে রাজ্যে আরও ৯৩ টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করতে কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অবশ্য ৫ টি অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সারা দেশে পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে ৫৫১ টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে এই রাজ্যও বেশ কয়েকটি পাবে।
আরও অক্সিজেনের প্ল্যান্ট তৈরি করতে কেন্দ্রকে চিঠি
রাজ্যে এই মুহূর্তে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবের বৈঠকে এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। তবে ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার। রাজ্যে আরও অক্সিজেনের প্ল্যান্ট তৈরি করতে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও করোনার মোকাবিলায় আরও বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।