তিন তারিখ থেকে কলকাতায় স্কুলে স্কুলে ভ্যাকসিন, সঙ্গে রাখতে হবে আধার কিংবা ছাত্রের পরিচিয় পত্র
কেন্দ্রের নির্দেশ মতো রাজ্যেও বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। আগামী তিন তারিখ থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই ঘোষণার পরেই সমস্ত রাজ্যের সঙ
কেন্দ্রের নির্দেশ মতো রাজ্যেও বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। আগামী তিন তারিখ থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই ঘোষণার পরেই সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
কীভাবে এই ভ্যাকসিনেশন হবে সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে করা হয়েছে কেন্দ্রের। আর এরপরেই কলকাতা পুরসভার তরফেও প্রস্তুতি তুঙ্গে।
জানা গিয়েছে, স্কুলে স্কুলে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ করা হবে। এই প্রসঙ্গে আজ বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, কলকাতায় ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তিন তারিখ অর্থাৎ সোমবার কলকাতা পুরসভার ১৬ টা বোরোতে থাকা ১৬ টা স্কুল, চার তারিখ ১৬ টা বোরোর ৫০ টি স্কুল থেকে এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে।
যদিও আরও কোনও স্কুল চায় তাঁদের স্কুলেও দেওয়া হোক তাঁরা পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বলে এদিন আবেদন করেন কলকাতার নয়া মেয়র।
এমনকি বেসরকারি কোনও স্কুল যদি মনে করে তাঁদের কোনও ডাক্তার রাখবেন ভ্যাকসিনেশনের সময়ে তাঁরা তা রাখতে পারেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তবে তাঁর কথায়, ছাত্রদের আধার কার্ড আনাটা মাস্ট। তবে যদি কারোর আধার না থাকে তাহলে স্কুলের পরিচয় পত্রটি দেখালেই হবে বলে জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে।
স্কুল ছাড়াও, শহরের পুরসভার যে সমস্ত ভ্যাকসিন কেন্দ্র আছে সেখান থেকেও বাচ্ছারা ভ্যাকসিন নিতে পারা যাবে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে কি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে? সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। আর তা এই মুহূর্তে জথার্থ রয়েছে বলেও দাবি রাজ্যের মন্ত্রীর। তবে আগামী ১০ তারিখ থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি বলে জানিয়েছেন ববি।
তাঁর দাবি, এই বিষয়ে নির্দেশ আসার পর সেই মতো কলকাতা পুরসভা কাজ করবে। তবে বুস্টার ডোজ কোর্মবিটি আছে এমন ৬০ বছরদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
অন্যদিকে কলকাতায় ফের কনটেনমেন্ট জোন তৈরি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আজ বুধবার তাঁর কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। আর সেই মতো সমীক্ষার কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকি কলকাতা পুরসভা এলাকাতে গনভাবে করোনা পরীক্ষা করার ভাবনাও পুরসভার আছে বলে দাবি।
তবে মেয়রের আক্ষেপ ফ্রিতে ভ্যাকসিন কেউ নিচ্ছে না সেখানে করোনা পরীক্ষা করতে কি কেউ আসবে? অন্যদিকে পুরসভার তরফে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে। শুধু তাই নয়, সংক্রমণ ঠেকাতে পুরসভার তরফে সবরকম ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করা হবে বলে খবর।