উত্তরাখণ্ডে বিজেপির জয়ের পিছনে ছিলেন এক বাঙালি নেত্রী! দিল্লিতে এবার তিনিই বড় দায়িত্বে?
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে চারটিতেই জয়জয়কার বিজেপির! বিপুল ভোট পেয়ে ফের একবার চার রাজ্যের মসনদে বিজেপিই। কার্যত কাজই করল না মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যু। তবে এবার উত্তরখণ্ডের নির্বাচনে বড় দায়িত্ব ছিল বাংলার সা
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে চারটিতেই জয়জয়কার বিজেপির! বিপুল ভোট পেয়ে ফের একবার চার রাজ্যের মসনদে বিজেপিই। কার্যত কাজই করল না মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যু। তবে এবার উত্তরখণ্ডের নির্বাচনে বড় দায়িত্ব ছিল বাংলার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপর।
বিগত কয়েকমাস ধরে পাহাড় ঘেরা সে রাজ্যে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন বাঙালি এই নেত্রী। ভোট স্ট্রেটেজি থেকে প্রচার কৌশল সবকিছুতেই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাত ছিল। আর তাই উত্তরখণ্ডের ব্যাপক এই জয় সামনে আসার পরেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন হুগলির এই সাংসদ।
সন্ধ্যাতেই দিল্লি উড়ে যাবে লকেট
জানা যাচ্ছে, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই দিল্লি উড়ে যাবে লকেট। সেখানে বিজেপি দফতরেও যেতে পারেন তিনি। সন্ধ্যা সাতটায় দিল্লির বিজেপির দফতরে আসবেন মোদী। থাকতে পারেন শাহও। সেখানে থাকতে পারেন লকেটও। এরপরেই উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। শুক্রবার দেরাদুন। জানা যাচ্ছে, পাহাড় ঘেরা ছোট এই রাজ্যে বিজেপির বিজয় উৎসবে লকেট চট্টোপাধ্যায় অংশ নিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি নতুন সরকার শপথ নেওয়া পর্যন্ত সে রাজ্যেই থাকবেন সাংসদ।
মুখ্যমন্ত্রী মুখ বদলাতে হয়েছে বিজেপি
এবার উত্তরাখণ্ডে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছিল বিজেপির কাছে। একাধিক ইস্যুতে চাপ বাড়ছিল। আর তাই গত পাঁচ বছরে দুবার সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখ বদলাতে হয়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপরেই আস্থা রাখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। চুঁচুড়া আসন থেকে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ।
আর এরপরেই সোজা তাঁকে উত্তরাখণ্ডে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সে রাজ্যের নির্বাচনের সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেন শাহ-নাড্ডারা। কঠিন পরীক্ষা ছিল! কিন্তু একেবারে ফুল মার্কস পেয়ে পাশ করেছেন তিনি। লড়াই সার্থক। আর সেই অনুভুতি এখন চোখে মুখে হুগলির এই সাংদের।
এই জয় ভালো লাগছে
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লকেট জানিয়েছেন, দলের এই জয় ভালো লাগছে। দলের নির্দেশই শেষ কথা। যেভাবে নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছিল সেভাবেই এগিয়ে গিয়েছে।
পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন লকেট
উত্তরাখণ্ডে বহু বাঙালি ভাষার মানুষ রয়েছেন। রয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষও। একেবারে প্রথমদিন থেকে সে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন লকেট। এমনকি মাঝামাঝি সময়ে সে রাজ্যে প্রচার করেছিলেন মতুয়া নেতা শান্তনু ঠাকুরও। তবে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সুনজরে রয়েছেন লকেট। সবকিছু ঠিক থাকলে কেন্দ্রে বড় দায়িত্ব এবার লকেটের কাঁধেই পড়তে চলেছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বিজেপি নেত্রী।