পুলিশের বেড়ে চলা ভুঁড়িতে নজরদারি চালাতে বিলি হল স্মার্টওয়াচ
যে পুলিশের ভুঁড়ি নিয়ে একসময় তোলপাড় হয়েছিল মহানগরী জুড়ে। এবার জেলা জুড়ে সেই ভুরি নিয়ন্ত্রণে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। বেড়ে যাওয়া পুলিশকর্মীদের ওজন কমানোর হিসেবনিকেশ রাখার জন্য স্মার্ট ওয়াচ দেওয়া হল। যার মাধ্যমে একজন পুলিশকর্মী দিনে কতটা পরিশ্রম করে নিজের শরীরের মেদ ঝরাতে পারলেন তা নিজেই পরখ করে নিতে পারবেন।
আর
এই
অভিনব
উদ্যোগের
সূচনা
হল
পশ্চিম
মেদিনীপুর
জেলা
পুলিশের
তরফে।
জেলার
পুলিশ
সুপার
দীনেশ
কুমার
জানান,
পুলিশের
মধ্যে
যাদের
শরীর
স্থুল
হয়ে
পড়ে
তাদের
বিরুদ্ধে
অনেক
সময়ই
শাস্তিমূলক
ব্যবস্থা
নেওয়া
হয়ে
থাকে।
কিন্তু
তাদের
নতুন
করে
সুযোগ
করে
দেওয়ার
জন্য
ওই
স্মার্ট
ওয়াচ
দেওয়া
হচ্ছে।
ওই
মেশিন
তাদের
সহায়ক
হবে।
প্রত্যেকেই
নিজেকে
ফিট
রাখার
জন্য
পরিশ্রম
করুন,
ব্যায়াম
করুন।
আমরা
মাসে
মাসে
তাদের
ঘড়ি
গুলি
পরীক্ষা
করে
বুঝতে
পারব
তাদের
কতটা
উন্নতি
হয়েছে।
সেরকম
ফলাফল
দেখলে
তাদের
পুরস্কৃতও
করা
হবে।
শুধু
মাত্র
পশ্চিম
মেদিনীপুর
নয়
রাজ্যের
প্রত্যেকটি
জেলাতেই
এই
উদ্যোগ
নেই
হবে
বলে
রাজ্য
প্রশাসন
সূত্রের
খবর।
এদিন জেলা পুলিশ লাইনে এক অনুষ্ঠানে ৬০ জন পুলিশ কর্মীকে এধরনের স্মার্ট ওয়াচ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইজি পশ্চিমাঞ্চল রাজীব কুমার, ডিআইজি বর্ধমান রেঞ্জ ভরতলাল মীনা, ডিআইজি মেদিনীপুর রেঞ্জ সুকেশ জৈন, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, যে পুলিশ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্বে সেই পুলিশের কেন ভুঁড়ি থাকবে ! এই প্রশ্নে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিএসএফের প্রাক্তন জওয়ান কমল দে।
তার বক্তব্য ছিল, কঠিন শারীরিক পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়ার পরে কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ কর্মীদের অনেকেরই নানা ধরনের ভুঁড়ি হয়ে যায়, তারা শারীরিকভাবে ফিট থাকেন না। তাই মানসিকভাবেও তারা অসতর্ক হয়ে পড়েন। সাধারণ মানুষকে যাদের নিরাপত্তার ভার রয়েছে যাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে তারা যদি শারীরিকভাবে ফিট না থাকে তাহলে কাজ করবে কি করে? আদালতের কাছে তার আবেদন পুলিশ কর্মীদের শারীরিকভাবে ফিট থাকতে বাধ্য করা। সচারোচর একই রকম ভুঁড়িওয়ালা পুলিশ চোখে পড়াটা বেশ স্বাভাবিক ব্যাপার। এই মামলায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকেও সতর্ক করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশের স্বারিরিক গঠন নিয়েও নিয়ম লাগু করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।