নির্বাচিত হয়েই দুই বিধায়ক ছাড়ছেন পদ, 'বিশ্ব রেকর্ড' করা বিজেপির অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ ডেরেকের
নির্বাচিত হয়েই দুই বিধায়ক ছাড়ছেন পদ, 'বিশ্ব রেকর্ড' করা বিজেপির অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ ডেরেকের
সাংসদ পদ রেখে বিজেপির (bjp) দুই নেতা নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার তাঁদের বিধায়ক পদে ইস্তফা দেবেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। যাকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল (trinamool congress) মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন (derek obrien) কটাক্ষ করে বলেছেন, নির্বাচকমণ্ডলী বিজেপির মুখে পচা ডিম লেপে দিয়েছে।
দিব্যেন্দু অধিকারী কি বরখাস্ত হবেন? তৃণমূলের জেলা কমিটির রিপোর্টে বাড়ছে রহস্য
রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে শিলমোহর
কোচবিহার ও রানাঘাটের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার এবারের নির্বাচনে দিনহাটা এবং শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁরা বিধায়ক পদে ইস্তফা দেবেন, চাইছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পরে এব্যাপারে শিলমোহর পড়েছে সেই সিদ্ধান্তে। তবে কবে তাঁরা বিধায়ক পদ ছাড়বেন সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জের
নিশীথ
প্রামাণিক
দিনহাটা
থেকে
৫৯
ভোটে
এবং
জগন্নাথ
সরকার
শান্তিপুর
থেকে
১৫৮৭৮
ভোটে
জয়ী
হয়েছিলেন।
আর
কোচবিহারের
৯
টির
মধ্যে
৭
টিতে
জয়
পেয়েছে
বিজেপি।
অন্যদিকে
নদিয়ার
১৭টির
মধ্যে
৯
টিতে
জয়
পেয়েছে
বিজেপি।
এই
দুই
সাংসদ
বিধায়ক
পদ
ছাড়লে
ছয়মাসের
মধ্যে
হওয়া
উপনির্বাচনে
দুই
প্রার্থীকে
জিতিয়ে
আনা
বিজেপির
কাছে
কার্যত
চ্যালেঞ্জের
হয়ে
দাঁড়াবে।
কেননা
সাধারণ
ভাবে
দেখা
গিয়েছে
উপনির্বাচনে
শাসকদলই
জয়ী
হয়।
এছাড়াও
একটি
আসনে
উপনির্বাচন
করতে
হবে,
সেটি
হল
খড়দহ।
কেননা
ভোটের
ফল
বেরনোর
আগেই
তৃণমূল
প্রার্থী
কাজল
সিনহার
মৃত্যু
হয়েছিল
করোনায়।
এখন
মুখ্যমন্ত্রী
নন্দীগ্রামে
শুভেন্দু
অধিকারীর
কাছে
হেরে
যাওয়ায়
এবং
অমিত
মিত্র
পুনরায়
রাজ্যের
অর্থমন্ত্রী
হওয়ায়
এই
মুহূর্তে
সামনের
ছয়মাসের
মধ্যে
দুটি
আসনে
উপনির্বাচন
জরুরি
হয়ে
পড়েছে।
ডেরেকের কটাক্ষ
বিজেপির সিদ্ধান্তের কটাক্ষ করতে গিয়ে ডেরেক ওব্রায়েন বলেছেন, এবারের নির্বাচনে বিজেপির চার সাংসদ, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং এক রাজ্যসভার সাংসদকে দাঁড় করিয়েছিল। এর মধ্যে তিনজন হেরেছেন। দুজন জিতেছেন। এবার এই দুজন বিধায়ক পদ ছাড়তে চলেছেন। যাঁরা কিনা গত সপ্তাহে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মুখে পচা ডিম
নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি বারবারই উল্লেখ করেছে তারা বিশ্বের সব থেকে বড় রাজনৈতিক দল। যা নিয়েই এবার বিজেপিকে নিশানা করেছেন ডেরেক। তিনি বলেছেন বিশ্বের সব থেকে বড় দুর্বল দল। মুখে ডিম মেথে তারা বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এরপরেই তিনি একদেশ এক নির্বাচনের স্লোগান দেওয়া নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন।