তৃণমূল কি ভিতরে ভিতরে সিএএ সমর্থন করছে! উচ্চশিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বিতর্ক
তৃণমূল কি ভিতরে ভিতরে সিএএ সমর্থন করছে! উচ্চশিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বিতর্ক
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, যা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক মহলে। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চাকরি প্রত্যাশীরা কোন দেশ থেকে এসেছেন, তা উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি জারির পর শিক্ষকদের সংগঠনগুলি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এই ধরনের বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের নিশানায় রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের উল্লেখ করতে বলা হয়েছে কোন দেশ থেকে আগত, সেই দেশের নাম। মূলত পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল বা অন্য কোনও দেশ থেকে আগত কিনা তা জানতেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এমন এক সময়ে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যখন ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সিএএ-এনপিআর এবং প্রস্তাবিত এনআরসির বিরোধিতা করছে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে তাহলে কেন আদত দেশের নামের উল্লেখ, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির তীব্র প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। প্রার্থীদের কেন মূলত পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল বা অন্য কোনও দেশের বাসিন্দা ছিল কিনা তা জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, তা বোধগম্য হচ্ছে না।
অভিযোগ, এই বিজ্ঞপ্তি নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে সমর্থনেরই নামান্তর। একদিকে তৃণমূল সিএএ-এনপিআর এবং প্রস্তাবিত এনআরসির বিরোধিতা করছে। অন্যদিকে, এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রকারান্তরে সিএএ-কে সমর্থন জানাল। শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগই মান্যতা পেল। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল সিএএ নিয়ে ধন্দ তৈরি করছে।
পুরভোটের জন্য টাকা চেয়ে চিঠি কমিশনের, দোলের পরেই দিন ঘোষণা নিয়ে জল্পনা