রাহুলের জনসভায় যাওয়ার পথে হামলা বিজেপি কর্মীদের ওপর, ফের তপ্ত বীরভূম
বুধবার পাড়ুইয়ে একটি জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে বিজেপির সভায় এত ভিড় হবে, তা বোধ হয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এতই ভিড় হয় যে, অনেকে সভাস্থলে ঢুকতেই পারেননি। ভাষণ দিতে উঠে রাহুলবাবু কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলকে।
এদিকে, খবর আসে পাড়ুইয়ের ওই সভায় আসার পথে ইমাদপুর গ্রামে বিজেপি কর্মীদের পথ আটকেছে তৃণমূল। তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে যথেচ্ছ তির ছোড়া হয়, গুলি ছোড়া হয়। বোমা মারা হয় বলেও অভিযোগ। বিজেপির দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুস্তাক হোসেনের ভাগনে সিরাজুল শাহ এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়। হামলায় চারজন বিজেপি কর্মী জখম হন। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাঁরা। এর জেরে জখন হন দুই তৃণমূল কর্মী। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। তবে স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, এ দিন পুলিশ অনেক সক্রিয় ছিল। তারা বন্দুক উঁচিয়ে হামলাকারীদের তাড়া করে হটিয়ে দেয়।
রাহুল সিনহা বলেন, "আমাদের লোকেরা অনেক সংযত ছিল। প্রাণ বাঁচাতে যতটুকু প্রতিরোধ দরকার, ততটুকু করেছে। নইলে অনেক বড় ঘটনা ঘটত। সারা বাংলার পাশাপাশি বীরভূম জেলায় মানুষ এখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিজেপিকে সমর্থন করছে। তাই তৃণমূল ভয় পেয়ে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে।" তিনি আরও জানান, ইমাদপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবে বিজেপি। এ দিন তিনি জখম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।