লকডাউনেও ব্যতিক্রমী পথে চলবে চা-বাগান, সচল থাকবে জুটমিলও, নির্দেশিকা জারি নবান্নের
লকডাউনেও ব্যতিক্রমী পথে চলবে চা-বাগান, সচল থাকবে জুটমিলও, নির্দেশিকা জারি নবান্নের
করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তার মধ্যেও কিছু ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চা-বাগান এবং জুটমিল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কম জনঘনত্বের এলাকায় চা বাগান থাকায় সংক্রমণের আশঙ্কা তেমন থাকে না। তাই ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে চা বাগান খোলায় কোনও সমস্যা থাকবে না বলে জানিয়েছে নবান্ন। একই ভাবে ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালানো যাবে রাজ্যের জুটমিলগুলিও।
লকডাউন ঘোষণা রাজ্যে
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হল। সরকারি ভাবে লকডাউন শব্দটি না বলা হলেও কার্যত লকডাউনের মতোই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দোকান বাজার খোলার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব পরিবহণ পরিষেবা।
বন্ধ পরিবহণ
গতবারের মতোই আগামিকাল থেকে রাজ্যের সব পরিবহণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। লোকাল ট্রেন আগেই বন্ধ করা হয়েছিল। এবার মেট্রো, বাস, ট্রাম, ফেরি চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। বন্ধ থাকবে অটো-ট্যাক্সিও। কেবল মাত্র মেডিকেল পরিষেবার কাজে যুক্ত ট্যাক্সি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আন্তরাজ্য বাস পরিষেবাও বন্ধ করা হয়েছে। কেবল মাত্র মেডিকেল সরঞ্জাম ও জরুরি পরিষেবার সামগ্রি নিয়ে চলা ট্রাক চলাচল করতে পারবে। তবে রাত ৯টা থেকে ভোট ৫টা পর্যন্ত সব যানবাহনই চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বন্ধ শিল্প
স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো বন্ধ থাকছেই। বন্ধ রাখা হচ্ছে সমস্ত শিল্প, উৎপাদন ইউনিট। ছাড় থাকছে শুধুমাত্র মেডিক্যাল সাপ্লাই, করোনা প্রোটেক্টিভ যে সমস্ত পণ্য আছে তাতে। এছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে সমস্ত পণ্য উৎপাদন হয় তা খোলা থাকছে। অক্সিজেন এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার উৎপাদনকারী সংস্থাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুধ, পোল্ট্রি, মাংস উৎপাদনকারী সংস্থাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
খোলা চা-বাগান-জুটমিল
শিল্প বন্ধ থাকলেও চা-বাগান ও জুটমিল খোলা থাকছে। ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে চা-বাগানে কাজ করা যাবে। জনঘনত্ব চা-বাগান এলাকায় কম থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জুটমিলের উৎপাদনেও রাশ টানা হয়নি। ৩০ শতাংশ কর্মীনিয়ে জুট মিলগুলি কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।