শোভনের জন্য আজও অপেক্ষায়, একুশের ভোটের মরশুমে কাতর আকুতি পুত্র সপ্তর্ষির
শোভনের জন্য আজও অপেক্ষায়, একুশের ভোটের মরশুমে কাতর আকুতি পুত্র সপ্তর্ষির
আজও বাবার জন্য মন কাঁদে সপ্তর্ষির। একুশের ভোটে প্রচারে যখন রাজনীতিবিদ থেকে তারকারা ঝড় তুলেছে, তখন শোভনের মতো দুঁদে রাজনীতিক অন্তরালে চলে গিয়েছেন। তা একেবারেই ভালো ভাবে নিতে পারছেন না তিনি। তাই তো বাবার কথা উঠতেই গলা কেঁপে উঠল সপ্তর্ষির। কাতর আকুতি জানিয়ে সে বলল, আমি চাই বাবা আবার রাজনীতি করুক মন দিয়ে।
বাবা ফিরে আসুক, সেটাই চাই
মায়ের জন্য প্রচারে বেরিয়েছেন। সঙ্গে বোনও। তাই বাবার কথাও মাঝেমধ্যে উঠছে। আর বাবার প্রসঙ্গ উঠলেই সপ্তর্ষি বলছে- বাবা ফিরে আসুক, সেটাই চাই। সব কিছু ভুলে যাবো। যা হয়েছে মেনে নেব। বাবা আবার রাজনীতিতে ফিরলে সবথেকে খুশি হব আমরাই। ফিরে এলে তো খুশি হবই। সাফ জানিয়ে দিলেন শোভন-পুত্র।
বাবার সঙ্গে পাঁচ বছর যোগাযোগ নেই
বাবা সঙ্গে নেই। মা তাদের দুই ভাই-বোনকে নিয়ে লড়াই চালাচ্ছেন। পারিবারিক সমস্যা একটা রাজনৈতিক পরিবারে হাসির খোরাক হয়ে ওঠে বেশি। সেই সমস্যা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই লড়ছেন সপ্তর্ষি। মা রত্না চট্টোপাধ্যায়ই তাঁদের ভরসা। কারণ বাবার সঙ্গে বিগত পাঁচ বছর কোনও যোগাযোগ নেই তার।
ভোটপ্রচারে মায়ের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সপ্তর্ষিকে
রত্না চট্টোপাধ্যায় এবার তৃণমূল কংগ্রেসের বেহালা পূর্বের প্রার্থী। গত কয়েকদিন ধরে মায়ের সঙ্গে প্রচারে বেরোচ্ছে ছেলে সপ্তর্ষি। মা যখন ম্যাটাডোরে করে রোড শো করছেন, তখন বিরাট পতাকা হাতে সামনের রাস্তায় হাঁটছেন ছেলে। নিউইয়র্ক থেকে অ্যাক্টিং ও ফিল্ম পরিচালনার কোর্স করে কিছুদিন হল ফিরেছেন তিনি। তারপরই ভোটপ্রচারে মায়ের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
তৃণমূল দলটা আমার বৃহত্তর পরিবার!
এদিন ভোট প্রচারের বেরিয়েই তিনি সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন, না, সক্রিয় রাজনীতিতে আসছি না। ইচ্ছা সিনেমা বানানোর। আমার অন্য কিছু ব্যবসাও আছে। তবে রাজনীতিতে না নামলেও তৃণমূল দলটা আমার বৃহত্তর পরিবার থাকবে। মমতা আন্টি আমার মায়ের মতোই। আমার বাবাও মমতা আন্টিকে মা বলে ডাকতেন। বাবার কথা ছেলের মুখে লেগে আছে সর্বদাই।
৯৬ শতাংশ ভোট পড়েছে একটি বুথে, বহু বুথে ৯০ শতাংশ, নন্দীগ্রামে কীসের লক্ষণ