মায়ের মুখাগ্নি করে বাড়ি ফিরেই মৃত্যু ছেলের! মর্মান্তিক ঘটনায় হাহাকার নদিয়ায়
মায়ের মুখে আগুন দিয়ে সবে বাড়ি ফিরেছেন। মাকে হারানোর আর্তির মাঝেই শরীরে শুরু হয় জ্বালা। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সব শেষ। বিষমদে মৃত্যু হয় ছেলেরও।
মায়ের মুখে আগুন দিয়ে সবে বাড়ি ফিরেছেন। মাকে হারানোর আর্তির মাঝেই শরীরে শুরু হয় জ্বালা। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সব শেষ। বিষমদে মৃত্যু হয় ছেলেরও। মৃত ছেলের নাম কৃষ্ণ মাহাতো। অসুস্থ কৃষ্ণকে শান্তিপুর হাসপাতাল থেক কৃষ্ণনগর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।
মায়ের মতো ছেলেও চুমুক দিয়েছিল বিষাক্ত মদের গ্লাসে। তার প্রভাবে মায়ের মতো ছেলেও ঢলে পড়ে মৃত্যু কোলে। নিয়তির এমনই পরিহাস, মায়ের দেহ সৎকার করে আসার পরই ছেলেও একই পথের পথিক হলেন। নির্মম পরিণতি হল বিষমদ পানের।
মা ভালুয়া সবজি বিক্রি করতেন, আর কৃষ্ণ দিনমজুর খাটতেন। এইভাবেই তাঁদের দিন কাটত। বুধবার ভোরেও সবজি নিয়ে গিয়েছিলেন হাওড়ার হাটে। ফিরতে পারেননি, ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ভালুয়া। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি বিষমদের প্রকোপ থেকে।
[আরও পড়ুন; পরকীয়ায় মজে স্ত্রী-খুনের জমজমাট 'চিত্রনাট্য'! ১০ বছর পর যাবজ্জীবন স্বামী ও প্রেমিকার]
মায়ের মৃতদেহ সৎকার করে ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে কৃষ্ণ। গুলবররে ঠেক থেকে বিষমদ খেয়েছিলেন ভালুয়া ও কৃষ্ণ। তাঁরা শেষ হয়ে গেলেন মদের নেশায়। এমনকী ঠেক মালিক চন্দন মাহাতো ওরফে গুলবরেরও মৃত্যু হয়। গুলবরের স্ত্রী লক্ষ্মী মাহাতো অন্তঃস্বত্ত্বা। সব হারিয়ে তিনি পড়েছেন অথৈ জলে।
[আরও পড়ুন: দিদিমণি, আমি পড়তে চাই! মেয়ের এক 'বুদ্ধি'র জোরেই নাবালিকা বিয়ের ছক বানচাল]