ছেলে বাড়ি ফিরে দেখল বাবার হাড়গোড় মেঝেতে পড়ে! ভয়ানক এই কাহিনী শুনলে চমকে উঠবেন
কয়েক মাস পর বাড়ি ফিরে ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন বাড়ির ছেলে। ঘটনাস্থলে পলাশিপাড়া সাহেবনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা।
কয়েক মাস পর বাড়ি ফিরে ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন বাড়ির ছেলে। ঘটনাস্থলে পলাশিপাড়া সাহেবনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা। বাড়িতে বাবা না থাকলেও মেঝেতে পড়ে রয়েছে হাড়গোড়। পুলিশ হাড়গোড় সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। বৃদ্ধের দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক প্রৌঢ় প্রিয়ব্রত মণ্ডল। দুই ছেলের বড়জন শুভঙ্কর থাকেন পুনেয় আর চোট দীপঙ্কর থাকতেন এলাকাতেই। একটি চায়ের দোকান রয়েছে তাঁর। হাঁটাচলা করতে না পারায় বাড়িতেই থাকতেন প্রিয়ব্রত। স্ত্রী বিয়োগ হয়েছিল আগেই। ছোট ছেলে মামার বাড়িতে থেকে বাবাকে মাঝে মধ্যে খাবার দিয়ে যেতেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু বাবা প্রিয়ব্রত ছোট ছেলেকে পছন্দ করতেন না। ফলে ছেলে বাবায় টানাপোড়েন চলছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবার খোঁজখবর রাখাও বন্ধ করেছিলেন দীপঙ্কর।
রবিবার পুনে থেকে বাড়িতে ফিরে বাড়ির দরজায় ধাক্কা দেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দরজা ছিল ভিতর থেকে বন্ধ। কোনও সাড়া না পাওয়ার চিৎকারে প্রতিবেশীরা জমা হয়ে যান। অল্প-বিল্তর দুর্গন্ধ আসছিল। খবর দেওয়ার পর পলাশিপাড়া থানা থেকে পুলিশকর্মীদের পাঠানো হয়। দরজা ভাঙলে দেখা যায়, মেঝেতে পড়ে রয়েছে হাড়গোড়। পুলিশ সূত্রে খবর সব মিলিয়ে ৪৭ টি হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। যা পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য।
বড় ছেলে শুভঙ্কর মণ্ডলের দাবি, হাড়গুলি তার বাবা প্রিয়ব্রতর। খাবার না পেয়ে অপুষ্টিতেই মারা গিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি খুনের না, অপুষ্টিতে মৃত্যু, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।