বিজেপির অন্দরের সমীকরণ ফাঁস! জয়ের দলত্যাগের বার্তার পরই গর্জে উঠলেন রাহুল
বিজেপির অন্দরের সমীকরণ ফাঁস! জয়ের দলত্যাগের বার্তার পরই গর্জে উঠলেন রাহুল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ইমেল করে বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন অবহেলার। তারপর রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধেএ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তারপর জয়ের পাশে দাঁড়িয়ে রাহুল সিনহা ফাঁস করে দিলেন কেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে দিতে হচ্ছে বিজেপি। বিজেপির অন্দরের সমীকরণ ফাঁস হয়ে গেল তাঁর কথায়।
বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন রাহুল
জয়ের অভিযোগ ছিল, বিজেপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধেইমূলত তার ক্ষোভ। সম্প্রতি তাঁকে জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ পড়তে হয়েছে। তাঁর জায়গায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় কর্মসমিতির আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছিল। আর তারপরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কছিন্ন করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সমালোচিত হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বের ওই সিদ্ধান্ত। এবার বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।
জয়ের বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্তের নেপথ্য কারণ
রাহুল সিনহার হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল সিনহা তখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর পদে দিলীপ ঘোষ আসার পর রাহুল সিনহা কেন্দ্রীয় সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন তাঁর সেই পদও নেই। তিনি শুধু সাধারণ সদস্য বিজেপির। এহেন রাহুল সিনহা জয়ের বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্তের পিছনে দলের সমন্বয়ের অভাবকেই দায়ী করেছেন।
বিজেপিতে যোগাযোগের ঘাটতি, অভিযোগ রাহুলের
বিজেপি নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে রাহুল সিনহা জানান, জয়ের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগের ঘাটতি ছিল, সে কথা স্পষ্টভাবেই মেনে নিতে হবে। এই কারণে জয়ের মতো অনেকই পার্টি থেকে সরে গিয়েছে। অনেকে পার্টি থেকে সরে যাচ্ছে। অনেকের মধ্যেই কাজ করছে হতাশা। জয়ের পাশে যতটা দাঁড়ানো দরকার ছিল, ওঁর সঙ্গে দলের যতটা সম্পর্ক থাকা উচিত ছিল, তা আমরা রাখতে পারিনি।
ব্যক্তিগতভাবে থাকলেও, দলের সঙ্গে যোগাযোগ ক্ষীণ
জয়ের রাজনৈতিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক হতাশা রয়েছে। দলের পক্ষ থেকে যতটা তাঁর পাশে দাঁড়ানো দরকার ছিল, ততটা দল দাঁড়ায়নি। আমার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকলেও, দলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ক্ষীণ। আর কোনও মানুষ যখন একা হয়ে যায়, তখন মানুষকে ভুল বোঝানোর লোকের অভাব হয় না। সেটাই হয়েছে জয়ের ক্ষেত্রে। জয় দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পদে না থেকেও দলের কাজ করা যায়, বার্তা রাহুলের
জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যপদ থেকে সম্প্রতি বাদ পড়েছিল জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তারপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এই সমস্ত বিষয় উঠে এসেসে জয়ের দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের পিছনে। রাহুল সিনহা বলেন, পদে না থেকেও দলের কাজ করা যায়। আমি সেটা করে দেখিয়ে দিয়েছিল। পদের জন্য যারা দল ছাড়ে তারা লোভী ছাড়া আর কিছু নয়।
দল সুযোগ দেয়নি, যোগাযোগ রাখেনি, মানলেন রাহুল
রাহুল সিনহা এটাও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, জয় বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর লোক ছিল। তাই তাঁকে দল তেমনভাবে সুযোগ দেয়নি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। দলের অন্দরে যে গোষ্ঠীকোন্দল চূড়ান্ত রয়েছে। তার জন্যই যে যোগ্য ব্যক্তিরা পদ পায় না। তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে নিজের উদাহারণ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন পদ না থাকলেও কাজ করা যায়।