তৃণমূলের আয়ের হিসাব চাইল সিবিআই, নজরে মমতার আঁকা ছবি
কলকাতা, ১০ মার্চ : নিজের আঁকা বিক্রি নিয়ে এবার ঘোরতর বিপাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তৃণমূলের যাবতীয় আয় নিয়ে জানতে চাইল সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিক্রির পাশাপাশি, বিজ্ঞাপন, চাঁদা বাবদ কত আয় হয়েছে তার হিসাব সংক্রান্ত নথি চাইল সিবিআই।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ৩ মার্চ, মুকুল রায়কে সিবিআই-এর তরফে একটি ইমেল পাঠানো হয়। সেই ইমেলের হার্ড কপি ৫ মার্চ পাঠানো হয় তৃণমূল ভবনে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা যে ছবি বিক্রি নিয়ে সারদা কাণ্ডে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল, অভিযোগ উঠেছিল যে ছবিটি সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে ১.৮ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল এবার সেই ছবির বিক্রি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি চাইল সিবিআই।
এদিকে সূত্রের খবর, সিবিআই-এর ইমেলের জবাব দিয়েছেন মুকুল রায়। সেই ইমেলে নাকি মুকুল জানিয়েছেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি আর দলের সাধারণ সম্পাদক নন। ফলে এসংক্রান্ত উত্তর তিনি দেবেন না। বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের কাছে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হোক। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত কোনও চিঠি আমরা পেলে তারপর জবাব দেব।
এদিকে বিতর্ক উঠেছিল ত্রিনেত্র কনসালটেন্সির চাঁদা নিয়েও। ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে মুকুল রায় জানিয়েছিলেন, ১.৪০ কোটি টাকার যে চাঁদা দলীয় তহবিলে জমা পড়েছে লোকসভা নির্বাচনের আগে, তা চাঁদা হলেও আসলে তা ঋণ হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। সেই তহবিলের যাবতীয় নথি ও তথ্যও খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। সে সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ পত্রও চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সূত্রের খবর মুকুল রায়ের বক্তব্যের জন্য শোকজ করা হচে পারে তাঁকে। অথবা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অন্য কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। মুকুল রায়ের বক্তব্য সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জোগাড়ের পর তা দলের শৃঙ্খলা কমিটিকে দিতে বলা হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, নির্দেশ এসেছে দলনেত্রীর কাছ থেকে। ডেরেক ওব্রায়েনকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।