পুলিশ কমিশনার পদে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে! কোন দলে যোগদান একুশের আগে
রোড শোয়ে ‘গোলি মারো' স্লোগান দেওয়ার জন্য বিজেপির তিন কর্মীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার পর সাত দিন কাটতে না কাটতেই বাংলায় শীর্ষ পুলিশ কর্তা হুমায়ুল কবীর পদত্যাগ করলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে।
একুশে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই চমক বাড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে। রোড শোয়ে 'গোলি মারো...' স্লোগান দেওয়ার জন্য বিজেপির তিন কর্মীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার পর সাত দিন কাটতে না কাটতেই বাংলায় শীর্ষ পুলিশ কর্তা হুমায়ুন কবীর পদত্যাগ করলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে।
রাজ্যের ওই শীর্ষ পুলিশ কর্তার স্ত্রী কদিন আগে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে, তারপর পুলিশ কর্তা স্বামীর পদত্যাগ বঙ্গ রাজনীতিতে চমকপ্রদ ঘটনা। ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। কেন তিনি পদত্যাগ করলেন, তা কয়েক দিন পরে জানাবেন বলেও মন্তব্য করেন হুমায়ুন। তিনি পদত্যাগপত্রে চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।
শীর্ষ পুলিশকর্তার চাকরি পদত্যাগের ফলে হুমায়ুন কবীরের রাজনীতিতে প্রবেশের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল তিনি অবসর নেবেন তার আগে ৩১ জানুয়ারি তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে খুশি করার জন্যই বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অভিযোগ, তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি তৃণমূলকে খুশি করার চেষ্টা করছেন। আবার একটা সূত্রের দাবি, হুমায়ুন কবীর মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তিনি বিজেপির দিকে ঝুঁকেছেন বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়। এছাড়া বিতর্কিত রাজনৈতিক মন্তব্যও তিনি করেছিলেন সম্প্রতি।
২১ শে জানুয়ারি বিজেপির জনসভায় 'গোলি মারো' স্লোগান দেওয়ার জন্য তিন জন বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। হিংসায় প্ররোচিত করার চেষ্টার অভিযোগে তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর চন্দননগরে বিশাল ব়্যালি করেন। কবীরের পদত্যাগের কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার গৌরব শর্মাকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।