নেই শৌচালয়, প্রাত্যহিক কাজ সারতে গ্রামবাসীদের যেতে হয় জঙ্গলে
আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের মহাকালগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মল বাংলা হিসেবে ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামের মানুষদের আজও প্রাত্যহিক কাজের জন্য জঙ্গলে যেতে হয়।
আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের মহাকালগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মল বাংলা হিসেবে ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামের মানুষদের আজও প্রাত্যহিক কাজের জন্য জঙ্গলে যেতে হয়। কারণ এই গ্রামে কোনও শৌচালয় নেই। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, তিনবছর আগে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে গ্রামের ৫ জন ৯০০ টাকা করে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিন বছর পার হওয়ার পরও আজও তাদের মেলেনি শৌচাগার। বারবার গ্রাম পঞ্চায়েত সহ ব্লক প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে জানিয়েও তাদের কোন সুরাহা হয়নি। ফলে গ্রামের মহিলা-পুরুষ আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার একমাত্র ভরসা খড়িয়া বস্তির জঙ্গল। সেখানেই সাপ-কীটপতঙ্গের আতঙ্ক নিয়েই তাঁদের প্রাত্যহিক কর্ম তাঁরা সারেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা বলেই এমন করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে।
মহাকালগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকা। ঘন জঙ্গল এখানে। কিন্ত এলাকায় এখনও উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে খড়িয়া বস্তি এলাকা উন্নয়ন থেকে বহু ক্রোশ দূরে রয়েছে। একদিকে জঙ্গল, অন্যদিকে নদী। বলা চলে একটি দ্বীপের মধ্যে বাস করে ২৫ টি পরিবার। নদীতে মাছ ধরেই চলে তাদের সংসার । সব কটি পরিবার আদিবাসী সম্প্রদায়ের খড়িয়া পদবীর ।
তাই এই আদিবাসী এলাকার নাম হয়েছে খড়িয়া বস্তি। এলাকার বাসিন্দা সুভাষ খড়িয়া বলেন, 'গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে পাঁচজন এর টাকা জমা দেওয়ার পরও এখনো শৌচাগার করে দেয় নি পঞ্চায়েত। আমরা চাই আমাদের পঞ্চায়েত থেকে শৌচাগার করে দেওয়া হোক'।