জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস কার, দিল্লিতে ব্যাখ্যা দিলেন স্বয়ং মুকুল রায়
মুকুল রায় জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসে যাচ্ছেন না। তাহলে কোথায় পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। না, এখনও স্পষ্ট করেননি সেই কথা। এখনও হাওয়ায় উড়িয়ে দিচ্ছেন সমস্ত সম্ভাবনা।
বিজেপি না নতুন দল- কোন পথে তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাসংদ মুকুল রায়? তা নিয়ে চর্চা চলছে অনেকদিন ধরেই। এখন স্বয়ং মুকুল রায়ই খোলসা করে দিলেন তাঁর চলার পথ। এখনই তিনি জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসে যাচ্ছেন না। তাহলে কোথায় পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। না, এখনও স্পষ্ট করেননি সেই কথা। এখনও হাওয়ায় উড়িয়ে দিচ্ছেন সমস্ত সম্ভাবনা।
তবে পরিস্থিতি যা, তাতে স্পষ্ট তিনি বিজেপির দিকেই পা বাড়িয়ে রয়েছেন। দেখাও করেছেন অরুণ জেটলি, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে। আগেও তিনি দেখা করেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে। তবে রবিবার ও সোমবার পরপর তাঁর অরুণ জেটলির বাড়ি ও দিল্লির বিজেপি অফিসে যাওয়া এবং বৈঠক করা অন্যরকম বার্তা দিয়ে গিয়েছে। তাহলে তাঁর নতুন দলের কী হবে?
এদিন সেই কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুকুল রায়। তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মুকুল রায় সরাসরি জানিয়েছেন, 'জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর নির্দেশেই হয়েছে। তিনিই দল করতে বলেছিলেন। তৃণমূলের নামেও যে দল গড়া যায় তা দেখানোই ছিল আমার প্রধান উদ্দেশ্য। আমি তা করতে পেরেছি। আমি দেখিয়ে দিয়েছি তৃণমূলের নামেও অন্য দল গড়া যায়।'
তিনি আরও বলেন, 'জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস গড়ার ভাবনা থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত পরামর্শ আমিই দিয়েছি। আমাকে বিশেষ কয়েকজন আইনজ্ঞ চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন তৃণমূল নামে কোনও দল তৈরি করা যাবে না। তাঁদের চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমি তৃণমূল নামে দল গঠন করিয়েছি।' কিন্তু দল যখন করেছিলেন, তখন সেই দলে যাওয়ার একটা ভাবনাও নিশ্চয়ই কোনওসময় মাথায় এসেছিল?
সেই প্রশ্নের জবাবে মুকুল রায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, 'জাতীয়বাদী তৃণমূল কংগ্রেস পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের সঙ্গে মার্চ করে যাওয়ার পক্ষপাতী। সেখানেই আপত্তি তাঁর। তাই তৃণমূল কংগ্রেস ও জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসের যদি জোট হয়, তাহলে তাঁর তৃণমূল ছাড়ার আর মূল্য কী রইল!'
তবে তাঁর এই কথা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। নতুন দল যখন তাঁরই সৃষ্টি, সেখানে অন্য কেউ তৃণমূলে মার্চ করার কথা বলবে কী করে! আর যদি তৃণমূলে মিশে যাওয়ার কথাই হয়। তাহলে নতুন দলের ভাবনাই বা কেন? রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা মুকুল রায় তাঁর গন্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা রাখার জন্যই এই সব আজব কথার অবতারণা করছেন।