মতুয়া বিধায়করা সরছেন পাশ থেকে, সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত বিজেপির
বিজেপির (bjp) রাজ্য ও জেলা কমিটিতে মতুয়া (matua) প্রতিনিধিত্ব না থাকার অভিযোগ করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার ৫ বিধায়ক (mla)। যদিও পরবর্তী সময়ে বিজেপির মতুয়া বিধায়করা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন
বিজেপির (bjp) রাজ্য ও জেলা কমিটিতে মতুয়া (matua) প্রতিনিধিত্ব না থাকার অভিযোগ করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার ৫ বিধায়ক (mla)। যদিও পরবর্তী সময়ে বিজেপির মতুয়া বিধায়করা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন বলে খবর। একদিকে যেমন সব মতুয়া বিধায়ক শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) ডাকা বৈঠকে যাননি, অন্যদিকে কেউ কেউ বনগাঁর সাংসদের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত মিলেছে বিজেপি সূত্রে।
ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ
রানাধাটে সাংসদ জগন্নাথ সরকারও মতুয়া সম্প্রদায়ের। তিনি নাম না করে শান্তনু ঠাকুরকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন দলকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, মতুয়াদের থেকে একাধিক বিধায়ক রয়েছেন, তিনি নিজে সাংসদ। এছাড়াও কেন্দ্রের তরফে সেই সম্প্রদায় থেকে মন্ত্রীও করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য এবং জেলা কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাখা হয়নি বলে অভিযোগ করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন বেশ কয়েকজিন বিধায়ক। যদিও পরবর্তী সময়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের মধ্যে দুটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে।
শান্তনুর থেকে ভিন্ন মত 'বিদ্রোহী' মতুয়া বিধায়কদের
নদিয়ায় বিজেপির মতুয়া বিধায়ক রেয়েছেন কল্যাণী, হরিণঘাটায় রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব এবং কৃষ্ণগঞ্জে। শান্তনু ঠাকুরের ডাকা বৈঠকে বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী যোগ দিলেও পরবর্তী সময়ে তিনি সমবাদ মাধ্যমের সামনে আসেননি। অন্যদিকে অপর বিধায়ক হরিণঘাটার অসীম সরকার মোবাইলের সুইচ অফ করে রেখেছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের দূত হয়েই তিনি শান্তনু ঠাকুরের বৈঠকে গিয়েছিলেন। যা যা বৈঠকে হয়েছে, সেই সব তথ্যও তিনি রাজ্য কমিটিকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিদ্রোহী অপর বিধায়ক কল্যাণীর অম্বিকা রায় জানিয়েছেন তিনি বৈঠকে যাননি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন সংগঠন সম্পর্কিত কোনও বিষয় তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে আনতে চান না। সংগঠনস্তরে যা মিটিয়ে ফেলা, তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। অপর বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেছেন, রাজ্য কমিটিতে জগন্নাথ সরকার রয়েছেন। সেখানে আরও আরও দু-একজনকে নেওয়া যেত। এছাড়াও মতুয়াদের ক্ষোভ অন্যভাবে মেটানোর পক্ষেও মত প্রকাশ করেছেন তিনি।
দলের অন্দরে কোনঠাসা শান্তনু
এই পরিস্থিতিতে দলের অন্দরে কোনঠাসা বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক শান্তনু ঠাকুর। বিদ্রোহের পরিস্থিতি সামাল দিতে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপির রাজ্য কমিটি। প্রসঙ্গত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জানা যায় শান্তনু ঠাকুর এই সপ্তাহের দিল্লি যাবেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে।
বারে বারে ধাক্কা দিয়েছেন বিজেপিকে
শান্তনু ঠাকুর বিজেপি যোগ দেওয়ার পর থেকে বারে বারে ধাক্কা দিয়েছেন বিজেপিকে। ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে যোগী আদিত্যনাথ বনগাঁয় প্রচারে গেলেও সেই সময় পাওয়া যায়নি শান্তনু ঠাকুরকে। পরবর্তী সময়ে এনআরসি নিয়ে দর কষাকষি শুরু করেন তিনি। তাঁর মানভঞ্জনে ঠাকুরবাড়ি ছুটে গিয়েছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। নামতে হয়েছিল অমিত শাহকেও। পরে তাঁকে কেন্দ্রে মন্ত্রীও করে বিজেপি।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর হেলিকপ্টার যাত্রা ২ ঘন্টার সড়কযাত্রায় পরিবর্তন! পঞ্জাবে ঠিক কী হয়েছিল এবং কেন