ভাঙছে তৃণমূল, গড়ছে বিজেপি! মেদিনীপুরে দল ছাড়ার হিড়িকে দাবি জেলা সভাপতির
পঞ্চায়েতে নির্বাচনের পরও বিজেপিতে যোগদানের পালা অব্যাহত রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। বুধবার মেদিনীপুরের দলীয় কার্যালয়ে এসে বিজেপি যোগদান করেন বহু নেতা-কর্মী।
পঞ্চায়েতে নির্বাচনের পরও বিজেপিতে যোগদানের পালা অব্যাহত রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। বুধবার মেদিনীপুরের দলীয় কার্যালয়ে এসে বিজেপি যোগদান করেন বহু নেতা-কর্মী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সভাপতি বলেন, প্রায় হাজার খানেক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করে এদিন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অন্তত ৫০ জন নেতা। তাঁরা কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে।
বিজেপি জেলা সভাপতি সমিত দাস ভিন্ন দল ছেড়ে আসা নেতা-কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। চন্দ্রকোনা রোডের স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুক্তার খান-সহ বহু নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন এদিন। জেলা যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় রায়ও এদিন বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন।
বিজেপির জেলা সভাপতির বক্তব্য, তৃণমূলের অত্যাচারের প্রতিবাদে নেতা-কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করেছে। নির্বাচনের আগে-পরে যে অত্যাচার চলছে, তাতে মানুষ বুঝতে পারছে বিজেপিই একমাত্র ভরসা। সেই কারণে বিজেপির ছত্রছায়ায় এসে তাঁরা লড়াই করতে চাইছে অত্যাচারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও প্রকৃত তৃণমূলীরা টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন। অনেকে নির্দল হয়ে লড়াই করেছিল, তাদের দলে ফিরে আসার জন্য টোপ দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই টোপ উপেক্ষা করে তাঁরা বিজেপিকে যোগ দিলেন। এই দলে রয়েছেন অনেক সক্রিয় তৃণমূল কর্মী।
এছাড়া নারায়ণ গড় থেকে সিপিএমের সক্রিয় কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা বুঝতে পারছেন এই মুহূর্তে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিজেপিই একমাত্র পথ। দলে আসা সমস্ত নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান বিজেপি সভাপতি। তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি, ওসব মিথ্যা রটনা করছে বিজেপি। যারা তৃণমূল টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়েছিল, তাদেরকে যোগদান করিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙার দাবি করছে। বিজেপির ওই দাবির কোনও ভিত্তি নেই।