মুখ্যমন্ত্রীও নিয়মের উর্ধ্বে নন! স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে শিবিরে গিয়ে জননেত্রী মমতা দিয়ে রাখলেন বড় বার্তা
মুখ্যমন্ত্রীও নিয়মের উর্ধ্বে নন! স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে শিবিরে গিয়ে জননেত্রী মমতা দিয়ে রাখলেন বড় বার্তা
জন সম্পর্ক ধরে রাখার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক ভূমিকায় এযাবৎকাল পাওয়া গিয়েছে। কখনও সফরের ফাঁকে ছোট দেকানে গিয়ে চা করতে দেখা গিয়েছে , কখনও বা রান্নার কড়াইয়ের সামনে চেনা ঘরোয়া মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী ধরা দিয়েছেন। আর এদিন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে গিয়েও মমতা সেই একই মেজাজে।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ
নিজে লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল ১১ টা নাগাদ নির্দিষ্ট শিবির থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন হরিশ মুখার্জি রোডের 'দুয়ারে সরকার' শিবিরে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংগ্রহ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কোনও ভিআইপি ট্রিটমেন্ট নয়, বরং সকলের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে দিদি এদিন এই কার্ড নেন।
মমতার স্বাস্থ্যবীমা
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব স্বাস্থ্যবীমা রয়েছে। যা তাঁর ব্যক্তিগত। তা সত্ত্বেও তিনি এদিন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করে স্পষ্ট করেন যে ১০ কোটির মানুষের মত রাজ্যের এক বাসিন্দা হিসাবে তিনিও এই কার্ডের কার্যকারীতায় ভরসা রাখেন।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুবিধা
এছাড়াও একাধিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুবিধা মমতা সরকার দিতে শুরু করেছে। বিনামূল্যে ছানি অপারেশন ও চশমা সহ একাধিক প্রকল্প মমতা সরকার দিচ্ছে । মমতা সরকারের নকুন এই প্রকল্পের নাম 'চোখের আলোয়'। যার হাত ধরে ১২০ টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রকল্প শুরু করছে মমতা সরকার।
জননেত্রীর ভূমিকায় মমতা
এদিন কলকাতার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিলি শুরু হয়। সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড সংগ্রহ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুধু লাইনে দাঁড়ানো নয়, জননেত্রী সুলভ আচরণে মমতা তদারকি করেন যে সকলে কার্ড ঠিক মতো পাচ্ছেন কী না। এরপর মমতা কার্ড নেওয়ার পর পছবি তোলা ও থাম্ব ইমপ্রেশনের মতো কাজও সম্পন্ন করেন নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে।
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে সুপ্রিমকোর্টকে মমতা সরকার কী জানাল! উঠল 'সরকারি আমলা' প্রসঙ্গ