মমতাকে আটকাতে অধীরের নয়া পঞ্চায়েত-প্ল্যান, তুরুপের তাস তৃণমূলেরই প্রাক্তন মন্ত্রী
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত যুদ্ধে তুরুপের তাস করছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রীকে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত যুদ্ধে তুরুপের তাস করছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। রাজনৈতিক 'গুরু'র সমর্থন পেয়ে আবার নির্বাচনী ময়দানে প্রবেশ করেছেন হুমায়ুন কবীর। এবার কংগ্রেসের টিকিটে তিনি জেলা পরিষদের প্রার্থী। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের দুর্দিনের মধ্যেও তিনি জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। সেইসঙ্গে এবার যেখানে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়েছে, সেখানে কংগ্রেস যে ভালো ফল করবে, তাও নিশ্চিত করতে চাইছেন হুমায়ুন।
[আরও পড়ুন:ভোটের আগে জোর ধাক্কা বিজেপিতে, শাসকের এক চালেই মাত হলেন মোদী-শাহ জুটি]
তিন বছর আগে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর হুমায়ুনের অবস্থা হয়েছিল 'না ঘরকা, না ঘাটকা'। সেই অবস্থায় যখন হুমায়ুন রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন, তখনই পাশে এসে দাঁড়ান 'গুরু' অধীর। তাঁর সমর্থন পেয়েই ফের রাজনীতির আঙিনায় পসার জমাতে শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী।
তিনি এবার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কংগ্রেস প্রার্থী। অধীর চৌধুরীর ডানহাত। তাঁকে দিয়েই ফের মুর্শিদাবাদে অধীর হারানো জমি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এবার চারটি পঞ্চায়েতজুড়ে হুমায়ুনের নির্বাচনী ক্ষেত্র। এই চারটি পঞ্চায়েতেই গত বিধায়নসভায় কংগ্রেসের লিড ছিল। কিন্তু গত বিধানসভার পর থেকেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে অনেকটাই।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ রাজনীতির বিতর্কিত চরিত্র হুমায়ুন কবীর। তাঁর রাজনৈতিক উত্থান হয়েছিল অধীর চৌধুরীরী হাত ধরে। ২০১১ সালে রেজিনগর বিধানসভা থেকে কংগ্রেসের বিধায়ক হয়েছিলেন। তারপর অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধের জেরে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান। কিন্তু তৃণমূলে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হলেও বিধানসভার লড়াইয়ে গুরুর কাছে হার মানেন শিষ্য হুমায়ুন। ফলে মন্ত্রিত্বও যায়, আর বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের পদও খোয়াতে হয়। এমনকী তাঁকে সাসপেন্ড হতে হয় তৃণমূল থেকে। তাই ফের ঘরে ফিরে ফের রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে চাইছেন হুমায়ুন। একইসঙ্গে 'গুরু' অধীরকেও দিতে চাইছেন 'গুরুদক্ষিণা'।