রাত নামলেই 'ভূ'-কম্পন, আজব-কাণ্ডে বাড়িতে বাড়িতে ফাটল রানিগঞ্জে, তীব্র আতঙ্ক
নসন্ধ্যার পর থেকেই অনুভূত কম্পন। কেঁপে উঠছে মাটি। ফাটলও ধরছে, রাস্তা থেকে বাড়ি- সর্বত্রই। প্রায় প্রতি বাড়িতে বাড়িতে কম্পনের এই ছাপ স্পষ্ট। আতঙ্কে দিন কাটছে রানিগঞ্জের বেলিয়াবাথান এলাকার বাসিন্দারা। কমপক্ষে ৪০টি বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা তাই স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।

রানিগঞ্জের বেলিয়াবাথানের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কম্পন হচ্ছে নিয়মিত। সকালে তেমন কিছু অনুভূত না হলেও, সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে কম্পন। মাস তিনেক ধরে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত। রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনকী আদিবাসী পাড়ায় পুকুরের জলও শুকিয়ে গিয়েছে।
বেলিয়াবাথান গ্রামের খুব কাছেই কোলিয়ারি। সেই কোলিয়ারি থেকে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা তোলা হত। খনি গর্ভ শূন্যই থেকে যাচ্ছে। তার ফলেই মাটি কাঁপছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাঝে মধ্যেই ভূগর্ভে ধস নামছে। তারই জেরে তৈরি রাস্তায় ও দেওয়ালে ফাটল দেখা দিচ্ছে। সরকারি প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকের কাছে।
ধস পুনর্বাসনে ইসিএল কর্তৃপক্ষ ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই পুনর্বাসনের কাজ ১০ বছরে শেষ করতে পারেনি এডিডিএ। ধস কবলিত এলাকা চিহ্নিত হওয়ার পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। খনি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বেআইনি খাদানে বিস্ফোরণের জেরে কম্পন হতে পারে। এই বিষয়টিতে নজর দেওয়া উচিত প্রশাসনের।