পরিবর্তন আসবে কাঁটা বিছানো পথেই! ২০১৯-এর লক্ষ্যে মমতাকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের
মুখে যাই বলুন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে বেজায় খুশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সরাসরি তা স্বীকার না করলেও, তাঁর কথাতেই স্পষ্ট তিনি বিজেপির এই ফলে খুশি।
মুখে যাই বলুন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে বেজায় খুশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সরাসরি তা স্বীকার না করলেও, তাঁর কথাতেই স্পষ্ট তিনি বিজেপির এই ফলে খুশি। খড়গপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমবাংলায় পরিবর্তন করতে গেলে কাঁটা বিছানো পথেই হাঁটতে হবে। আর বিজেপি তৈরি কাঁটা বিছানো পথে হেঁটেই রাজ্যে পরিবর্তন আনতে।
তিনি বলেন, সদ্য সমাপ্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি লড়াই দিয়েছে। ময়দান থেকে আমাদের কর্মীরা পিছু হটেনি। তৃণমূল যে পথ দেখিয়েছে, আমরা সেই পথেই মোকাবিলা করেছি। সন্ত্রাস, হিংসা যেমন ছিল, আমাদের কর্মীরা অসম সাহসের সঙ্গে তার মোকাবিলা করে গিয়েছে। তার ফলেই অন্তত ৮-৯টি জেলাতে আমরা ভালো ফল করেছি। ভবিষ্যতেও আমরা আরও ভালো ফল করব।
[আরও পড়ুন:কাকদ্বীপে সিপিএম নেতা ও তাঁর স্ত্রীর জীবন্ত দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য]
তাঁর কথায়, আমাদের এবার টার্গেট লোকসভা। পঞ্চায়েত ভোটে যে প্রতিকূলতার সঙ্গে আমরা লড়েছি, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে লোকসভাতে আরও ভালো ফল করব। আমরা পঞ্চায়েতে ৩৮ হাজার প্রার্থী দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত ৩০ হাজার প্রার্থীকে টিকিয়ে রাখতে পেরেছিলাম। তার মধ্যে ৬ হাজার প্রার্থী জিতেছে। এই সাফল্য কম কীসের। এই সাফল্যের ধারা বজায় রেখেই আমরা ভবিষ্যেত আরও এগবো। পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটা উদাহারণ আমরা তুলে ধরলাম। এরপর ২০১৯-এর লোকসভা, তারপর ২০২২-এর বিধানসভা পরিবির্তনের লড়াই-এ আরও ব্যাপকতা দেখতে পাবেন আপনারা।
তিনি বলেন, লোকসভা হোক বা বিধানসভা ভোট, তখন কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। পুলিশ দিয়ে ভোট হবে না, ছাপ্পা হবে না, মানুষ ভোট দেবে, তখনই দেখব তৃণমূল কংগ্রেসের কত ক্ষমতা। তিনি বলেন রাজ্যের ৪০ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পারল না, তারা চুপ করে থাকবেন না, বুমেরাং হবেই আসন্ন লোকসভা ও বিধানসভায়।
[আরও পড়ুন:'হাত ছেড়ো না'- কুমারস্বামীকে জোটের বার্তা দিয়ে ২০১৯-এর লক্ষ্যে অবিচল মমতা]
তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসও জানে সত্যিকারের ভোট হলে তারা জিতবে না। সেই কারণেই সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে পঞ্চায়েত ভোট করল তারা। নিরাপত্তাবিহীনভাবে নিজেদের ক্যাডার দিয়ে ভোট করিয়ে নিতেই তৃণমূল কংগ্রেস এইসব ফন্দিফিকির করল বলে অভিযোগ দিলীপ ঘোষের।