‘হাত ছেড়ো না’- কুমারস্বামীকে জোটের বার্তা দিয়ে ২০১৯-এর লক্ষ্যে অবিচল মমতা
জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে প্রতিপন্ন করেছেন আগেই, এখন তিনি তৎপর মোদী বিরোধী জোটের মুখ হতে।
কর্ণাটক সরকার গঠনকে সামনে রেখে ২০১৯-এর লক্ষ্যে আঞ্চলিক দলগুলিকে জোটবদ্ধ করতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে প্রতিপন্ন করেছেন আগেই, এখন তিনি তৎপর মোদী বিরোধী জোটের মুখ হতে। আর সেই লক্ষ্যেই কর্ণাটক আস্থা ভোটের দিন কংগ্রেস-জেডিএস জোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী কুমারস্বামীকে মমতা বার্তা দিলেন- 'হাত ছেড়ো না'।
এর আগে শরদ পাওয়ার, চন্দ্রবাবু নাইডু, চন্দ্রশেখর রাওকে নিয়ে মোদী-বিরোধী মঞ্চ জোরদার করতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি কংগ্রেস-জেডিএসকে জোটকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। দূরে থেকেও তিনি নিয়ন্ত্রণ করছেন কংগ্রেস ও জেডিএস শিবিরকে।
[আরও পড়ুন:কর্ণাটক মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা কংগ্রেসের]
শনিবারই কর্ণাটকে ফ্লোর টেস্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে বিজেপিকে। তা নিয়ে সাজো সাজো রব সকাল থেকেই। সেদিকে নজর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। বিজেপি ফ্লোর টেস্ট পিছিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়ে এদিনই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলে।
তারপরই সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরাও ফ্লোর টেস্টের দিকে নজর রাখছি। তিনি কুমারস্বামীকে হাত ছাড়তে নিষেধ করেন। বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তশালী জোট গড়ার বার্তা দেন তিনি। তিনি বুঝিয়ে দেন, কর্ণাটকের ফলাফল দেখেই ২০১৯-এর লক্ষ্য স্থির হবে। বিজেপি বিরোধিতায় কতটা এককাট্টা দলের নব নির্বাচিত বিধায়করা, তা দেখে নেওয়া যাবে এই ফ্লোর টেস্টে।
[আরও প়ড়ুন:কর্ণাটক ফ্লোর টেস্ট লাইভ: বিধানসভায় শুরু অধিবেশন, সুপ্রিম কোর্টে হার কংগ্রেসের]
উল্লেখ্য, কর্ণাটক বিধানসভায় ফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের হয়ে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেডিএস সুপ্রিমো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়াকে ফোন করে কংগ্রেসকে সমর্থনের আর্জি জানান তিনি। এরপর তিনি ফোন করেন জেডিএসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কুমারস্বামীকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, কিছুতেই বিজেপির সঙ্গে জোট নয়।